শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৭ অপরাহ্ন

গুম খুনের শিকার রুবেল ১৩ বছর পর নারায়ণগঞ্জ থানায় হাজির

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ মে, ২০২১
  • ৩০৬ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেকের কুড়েরপাড় এলাকার সেই রুবেল ওরফে আল আমিন (২১) জীবিত ফিরে এসেছে ১৩ বছর পর। তাকে গুম করা হয়েছে এই অভিযোগে দুইজন মুক্তিযোদ্ধাসহ ১৯জনকে আসামী করে ২০০৭ সালে মামলা করা হয় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায়। মামলা নং-২৩। তারিখ-২৩(২)২০০৭।

মামলায় ৬ থেকে ৭ আসামীরা জেলও খেটেছে। বর্তমানে জামিনে রয়েছে। এরমধ্যে বুধবার (১৯ মে) রাতে রুবেল বাড়িতে আসে। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুরে মামলার আসামীরা তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এবং রাত ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় নিয়ে আসে রুবেলকে।

রুবেল জানায়, সে তার মা রহিমা খাতুনের মারধর ও ক্ষুদার যন্ত্রনায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালে আসে। পরে নারায়ণগঞ্জ রেল স্টেশন থেকে ট্রেনযোগে কমলাপুর যায়। সেখানে দীর্ঘদিন মানুষের কাছে হাত পেতে খেয়ে বেঁচেছিল। এরপর এক লোকের সাথে পরিচয় হওয়ার পর ওই লোক রামপুরা একটি হোটেলে কাজ নিয়ে দেয় তাকে। এরপর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। বর্তমানে মগবাজার মধুবাগ হাতির ঝিল সংলগ্ন মসজিদের পাশে ভাড়ায় বসবাস করে সেখানেই রং মিস্ত্রির কাজ করছি। আসল নাম রুবেল হলেও মগবাজারে রং মিস্ত্রি আল আমিন নামে আমি পরিচিত।

রুবেল আরও জানায়, বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ১০ বছর পর তার সঙ্গে তার মায়ের যোগাযোগ হয়। পরে সে কুঁড়েরপাড় আসতে চাইলে তার মা বলে তোকে এলাকায় নিয়ে গেলে মেরে ফেলবে। গত ৬ বছর ধরে সে এলাকায় আসতে চাইলেও তার মা তাকে আসতে দেয়নি বলে জানায় রুবেল। এক পর্যায়ে তার মাকে না জানিয়েই বুধবার রাতে কুঁড়ের পাড় নিজ বাড়িতে ফিরে আসে সে। তখন তা মা বলে তুই কেন আসছোস, তোকে তো মেরে ফেলবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুরে মামলার আসামীরা বিষয়টি জানতে পেরে তাকে আটক করে। মামলার বাদী রহিমা খাতুন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পলাতক রয়েছেন।

রুবেলের বাবার নাম জানু মিয়া। এলাকাবাসী জানায়, মামলার বাদি রহিমা খাতুন এলাকায় মামলাবাজ মহিলা হিসেবে পরিচিত। সে মিথ্যা মামলা থেকে তার আত্মীয়-স্বজনকেও ছাড় দেয়নি। মিথ্যা মামলা করে টাকা হাতিয়ে নেয়াই ছিল তার মূল লক্ষ্য, জানিয়েছেন ভুক্তভোগিরা।

রুবেল জানায়, তার মা সুবিধাজনক না। সে অন্য লোকের প্ররোচনায় মামলা করেছে। তাকে ধরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। কেন এবং কি কারণে কার প্ররোচনায় তিনি মামলা করেছেন।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, মামলাটি বেশ কয়েক বছরের পুরোনো। পুলিশ ও ডিবি এর আগে তদন্ত করেছিল। শুক্রবার ভিকটিমকে আমরা আদালতের জিম্মায় দিবো এবং আদালতের পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০২ পূর্বাহ্ণ
  • ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ
  • ১৫:৩৬ অপরাহ্ণ
  • ১৭:১৫ অপরাহ্ণ
  • ১৮:৩১ অপরাহ্ণ
  • ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ
©2020PrintNarayanganj  All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
%d bloggers like this: