আজ বৃহস্পতিবার (০৩ জুন) । বরাবরের মতো এবারও বাড়ছে বাজেটের আকার। ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের সম্ভাব্য আকার হতে পারে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।
সে হিসেবে চলতি অর্থবছরের বাজেটের সাথে নয়া বাজেটের আকারের পার্থক্য মাত্র হাজার কোটি টাকা।
প্রশাসনিক ব্যয় মেটানোর পাশাপাশি রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো উন্নয়নে যুদ্ধবিধ্বস্ত সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাজেট ছিল অনেকটাই বিদেশি অনুদান ও ঋণনির্ভর। ১৯৭২ সালের ৩০ জুন মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন দেশের প্রথম অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। ১৯৭৪ সালে বাজেটের আকার ছাড়ায় ১ হাজার কোটি টাকা, যা ১৯৮৮ সালে দাঁড়ায় ১০ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকায়।
২০০৩ সালে ঘোষিত ৩১তম বাজেট প্রথমবারের মতো ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের পেশ করা ওই বাজেটের আকার ছিল ৫১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা। ৬ বছর পর ২০০৯-১০ অর্থবছরে যা ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রস্তাবিত সে বাজেটের আকার ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকা।
২০১১ সালের ৯ জুনে পেশ করা বাজেটের আকার ছিল ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। মহাজোট সরকারের গত মেয়াদের শেষ বাজেট দুই লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়, আকার ছিল ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা। দ্বিতীয় মেয়াদের মহাজোট সরকারের প্রথম বাজেট দেয়া হয় ২০১৪ সালের ৫ জুন। যার আকার ছিল আড়াই লাখ কোটি টাকার বেশি।
দুই বছর পর ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটের আকার দাঁড়ায় ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট ৪ লাখ কোটি টাকার মাইলফলকে পৌঁছায়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাজেটের আকার হয় ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা।
২০১৯-২০ অর্থবছরে তা পৌঁছায় ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকায়। ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা।
আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রস্তাবিত ৫০তম বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।