প্রিন্ট নারায়ণগঞ্জঃ ‘আমার ছেলের কোনো দোষ ছিল না। আমার ছেলে অত্যন্ত ভাল ছিল। ঘর থেকে ডেকে নিয়ে আমার ছেলেটাকে মেরে ফেললো। আমার ছেলে হোসিয়ারীতে কাজ করতো। খুব সাধাসিদে ছেলে ছিল। আমার ছেলেটিকে মেরে ফেললো। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। আমার ছেলে হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
এই পর্যন্ত বলেই আর কোনো কথা বলতে পারেননি দেওভোগ এলাকার বাসিন্দা নাহিদা আক্তার। কেঁদে কেঁদে তিনি প্রায় অজ্ঞান। ছেলের শোকে পাথর হয়ে গেছেন তিনি। কান্না ছাড়া তার আর কোনো কথা আসে না। সারাদিন তিনি শুধু কাঁদেন।
২৩ জুলাই শুক্রবার দেওভোগ মাদ্রাসা এলাকায় তার ছেলে ইমন হত্যার বিচারের দাবীতে মানবন্ধনে এসে এই কথাগুলো কোনো রকম বলতে পারছিলেন। মানববন্ধনে ছেলে হত্যার বিচার চাওয়ার পর আর তিনি কোনো কথা বলতে পারেনি। আদর্শ নাগরিক ফাউন্ডেশন ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
২৩ জুলাই শুক্রবার দেওভোগ মাদ্রাসা এলাকায় তার ছেলে ইমন হত্যার বিচারের দাবীতে মানবন্ধনে এসে এই কথাগুলো কোনো রকম বলতে পারছিলেন। মানববন্ধনে ছেলে হত্যার বিচার চাওয়ার পর আর তিনি কোনো কথা বলতে পারেনি। আদর্শ নাগরিক ফাউন্ডেশন ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
গত ১৭ জুলাই রাতে ফতুল্লার দেওভোগ পানির ট্যাংকি এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় ইমন নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। নিহত ইমন ফতুল্লা থানার পশ্চিম দেওভোগের অরুন মিয়ার ছেলে।