অনলাইন ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশব্যাপী গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে দেশের সব সিটি করপোরেশন, ইউনিয়ন-ওয়ার্ড ও বিভিন্ন অঞ্চলভেদে এই টিকাদান কর্মসূচি চলছে। এ কর্মসূচি চলবে আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগণকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু হল। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা ৩২ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসব। তাদের প্রত্যেকের জন্যই দ্বিতীয় ডোজের টিকাও সরবরাহ করে রাখা হবে। নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রেখে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে।
শনিবার দেশের সব ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
রোববার ও সোমবার ইউনিয়নের যেসব ওয়ার্ডে শনিবার টিকাদান চালু ছিল, সেসব ওয়ার্ড ও পৌরসভার বাদ পড়া ওয়ার্ডে টিকা দেওয়া হবে।
তবে শনিবার থেকে সোমবার টানা তিন দিন সিটি করপোরেশন এলাকায় টিকাদান কার্যক্রম চলবে। রোববার ও সোমবার দুর্গম এবং প্রত্যন্ত এলাকায় টিকাদান কার্যক্রম চলবে।
আগামী মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার ৫৫ বছরের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে টিকাদান কার্যক্রম চালানো হবে। টিকাদান কার্যক্রমে ৩২ হাজার ৭০৬ টিকাদানকারী ও ৪৮ হাজার ৪৫৯ স্বেচ্ছাসেবী যুক্ত থাকবেন।
আগামী ৭ থেকে ১২ আগস্ট ছয় দিনে সারাদেশের ১৫ হাজারের বেশি টিকাদান কেন্দ্রে প্রায় ৩২ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হবে।
ইউনিয়ন, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন এলাকায় ছয় দিনের বিশেষ ক্যাম্পেইনের টিকাদান আলাদাভাবে পরিচালিত হবে। পঁচিশোর্ধ্ব যারা নিবন্ধন করতে পারেননি, তারাও এ সময় টিকা নিতে পারবেন।
৫০ বছর বা তার বেশি বয়সী জনগোষ্ঠী, নারী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠী এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, দেশে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় ১৪ কোটি মানুষকে টিকা দিতে হবে। সুতরাং এত সংখ্যক মানুষকে টিকা দিতে হলে বড় আকারে ক্যাম্পেইন করে উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে হবে। অন্যথায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে সবাইকে টিকাদান সম্ভব হবে না