প্রিন্ট নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল হাই বলেছেন, কাউয়াদের ভীড়ে নৌকা ডুবে যাচ্ছে। এতো কাউয়া হাইব্রিড আগে কখনও দেখেনি। দলের দুর্দিনে সকল কাউয়া আর হাইব্রিডদের মিছিল মিটিংয়ে খুঁজেও পাওয়া যায় নাই। তাদের আসল উদ্দেশ্য হলো ক্ষমতা ভোগ করা। পদ পদবী নিয়ে যদি কিছুটা লাভবান হতে হওয়া। ছোট খাটো অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়া। জমি দখল, ঝুট ব্যবসা সন্ত্রাসী কর্মকা- করে বেড়ানো। এই ১২ বছরে অনেক বিএনপি জামায়াতের হাইব্রিড নেতারা এই দলের ভিতরে ঢুকছে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে ৬০ হাজার হাইব্রিড নেতা দলে অনুপ্রবেশ করেছে। দলের অনুপ্রবেশকারীরা এখন দলের কাঁটা হয়ে গেছে, খুলতেও পারতাছি এবং ফেলতেও পারতাছি না। এই সকল অনুপ্রবেশকারীদের দল থেকে ফেলে দিতে হবে। জামায়াত বিএনপির হাইব্রিড নেতারা তারা আমাদের চেয়েও জোর গলায় জয় বাংলার শ্লোগান দেয়।
জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন আহমেদের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগষ্ট) দুপুরে সৈয়দপুর ফকিরবাড়ি এলাকায় গোগনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। পরে অসহায় হতদরিদ্র মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।
আবদুল হাই বলেন, আপনাদের এলাকা থেকে থানার কমিটি গঠনের প্রস্তাবিত সহ সভাপতি হিসেবে বেশ কয়েকজন কাউয়া হাইব্রিড নেতার নাম আমাদের কাছে জমা দিয়েছে। আমি তাদের অনুমোদন দেয় নাই। থানা পর্যাায়ের কমিটিতে নাম আসতে হলে তাকে ১৫ থেকে ২০ বছর আওয়ামীলীগের ত্যাগী কর্মী হতে হবে। এই কাউয়াদের থেকে ত্যাগী নেতাদের সতর্ক থাকতে হবে। এরা সুসময়ে মধু আহরণ করে চলে যাবে। দলের দুঃসময়ে ত্যাগী নেতারাই থাকে
তিনি আরও বলেন, সামনে ইউনিয়ন নির্বাচন আসছে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক কাউয়া হাইব্রিডরা বড় নেতাদের পিছনে পিছনে ঘুরে নেতা হতে চায়। একই সাথে তারা অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন ফায়দা নিতে আসে। এই হাইব্রিডরা উইরা এসে জুইরা বসে নেতা হওয়ার চেষ্টা করে। নির্বাচনে অনেকে প্রার্থী হতে পারে, এটা মানুষের অধিকার। যারা নৌকার প্রার্থী হতে চায় তাদেরকে আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতা হতে হবে। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভার মাধ্যমে আলোচনা করে ৩ জনের নাম আমাদের কাছে জমা দিবে। আমরা তা যাচাই বাচাই করে কেন্দ্রে পাঠাবো। কেন্দ্র থেকে নেত্রী যাকে নৌকা দিবে আমরা তার পক্ষে কাজ করবো।
গোগনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজ মাষ্টারের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক এবিএম আজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ সদর থানা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মজিবুর রহমান সিকদার। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হাজী আমজাদ হোসেন, গোগনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম ও মান্নান, গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুর হোসেন সওদাগর, বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকান্দর আলী, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সদস্য মেহেদী হাসান রবিন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আক্তার হোসেন বিএ, সোনাকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক মো. শাহজাহান, গোগনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজা মিয়া, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আক্তার হোসেন সুকুম প্রমুখ।