প্রিন্ট নারায়ণগঞ্জঃ ‘পুলিশের পোশাক খোলা ওয়ান টু ব্যাপার’ বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসা নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। ২১ আগস্ট রাতে তাকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তারের পর সিদ্ধিরগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের সবশেষ হরতাল কান্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাগুলোর মধ্যে ৩টি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। রোববার (২২ আগস্ট) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহমেদের আদালতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার হেফাজত একটি মামলার জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আরো দুটি মামলার নথি উচ্চ আদালতে থাকায় সেগুলো পরে নথি আসলে শুনানি হবে
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, রনিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হলে তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করেছেন আদালত।
রনির আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, রনির বাড়ি ফতুল্লার আর ঘটনা সিদ্ধিরগঞ্জে। একেবারে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমরা এ ঘটনা আদালতকে জানিয়ে তার জামিন আবেদন করেছিলাম। আদালত জামিন নামজুর করেছেন। বাকি দুটি মামলার নথি উচ্চ আদালতে থাকায় শুনানি হয়নি, নথি আসলে শুনানি হবে।
১৭ আগস্ট মাসদাইর এলাকার মজলুম মিলনায়তনে ছাত্রদলের দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি বলেন, ‘আজকে ঢাকার কর্মসূচিতে পুলিশ বিনা উস্কানিতে হামলা করেছে। আমি জানি না পুলিশ কাদের লোক। তারা কি সাধারণ জনগণের নাকি একক শেখ হাসিনার ? আমি বলে দিতে চাই যদি একক শেখ হাসিনার হয়ে থাকেন আপনারা যে পোষাক পরিধান থাকেন সেটা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় কিনা। যদি ছাত্রদল চিন্তা করে তারেক রহমান চিন্তা করে পুলিশের সেই পোশাক খুলে ফেলবে। সেটা আমাদের ওয়ান টু ব্যাপার মাত্র। ছাত্রদল পুলিশ প্রতিহত করবে।’
একই সাথে দলীয় নেতাকর্মীদের শায়েস্তা করার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে আরও বলেন, আজকে অনেক নেতাকে দেখা যায় শুধুমাত্র পদ পদবীর সময় সামনে এসে দাঁড়ায়। নিজের সুন্দর চেহারা দেখিয়ে পদ পেয়ে যায়। শুধুমাত্র পদ নেয়ার জন্য তারা আসে। মাঝে মাঝে নিজের দলের নেতাকর্মীদের শায়েস্তা করার ইচ্ছা জাগে। কিন্তু পারি না এজন্য দল করি কিছু বাধ্যবাধকতা থাকে। আদর্শহীন রাজনীতি আমরা কখনও করি নাই। রাজনীতি করতে গিয়ে অনেকেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন বাড়ি গাড়ি করেছেন। কিন্তু ত্যাগী নেতারা কিছুই করতে পারে না।