নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারী ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক (অটোরিকশা), মিশুক থেকে অবৈধ চাঁদাবাজির মহোৎসব চলছে। রাজনৈতিক নেতা, মাস্তান, স্থানীয় হোমড়া-চোমড়া ও জন-প্রতিনিধিদের ছত্রছায়ায় থেকে এ সকল চাঁদাবাজরা নির্বিঘ্নে নিজ নিজ সংগঠনের স্টিকার বা প্লেট ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করছে। তাদের কাছে রীতিমত জিম্মি হয়ে পড়েছে এই সকল যানবাহনের চালকরা। পুলিশ কখনো এ সকল চাঁদাবাজদের আটক করে চাদাঁবাজি মামলায় আদালতে পাঠালে তারা কিছুদিন কারাভোগের পর জামিনে বেরিয়ে এসে পুনরায় জড়িয়ে পড়ছে চাঁদাবাজিতে। এ সকল চাঁদাবাজরা স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কে অনেকটা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে কয়েক লাখ টাকা। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন নেতৃত্বে ভিন্ন ভিন্ন সড়কে আগমন ঘটছে নতুন নতুন চাঁদাবাজ চক্রের। প্রকার ভেদে প্রতিটি ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক ও মিশুক থেকে স্টিকার বাবদ নেয়া হচ্ছে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা। গাড়ী প্রতি মাসে নেয়া হচ্ছে ৫ থেকে ৭০০ এমন কি হাজার টাকা পর্যন্ত। আর প্রতিদিন লাইনম্যান দিয়ে সড়ক থেকে গাড়ী প্রতি উত্তোলন করা হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। তথ্য মতে, কোন চালক যদি এদের স্টিকার বা প্লেট ব্যবহার করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে তাহলে এ সকল চাঁদাবাজরা ইজিবাইক ও মিশুক থেকে জোড় পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে গাড়ীর চাবি বা যাত্রীদের বসার সিট। এমনকি চালকদের মারধর ও করা হয়। আর তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই টাকা দিয়ে স্টিকার বা প্লেট সংগ্রহ করতে হচ্ছে চালকদের। জানা যায়, পঞ্চবটী, কাশিপুর-মুক্তারপুর সড়কে চাদাঁ আদায় করার নেতৃত্বে রয়েছে শহিদ ওরফে বরিশাইল্যা শহিদ, হুমায়ন ওরফে লম্বু হুমায়ন ও মিজান, পঞ্চবটী-বক্তাবলী সড়কে অপু চাঁদা আদায় করছে। পোস্ট অফিস-শিবু মার্কেট সড়কে চাঁদা আদায় করছে ওয়াসীম, জনি, ঢাকা-নারায়নগঞ্জ মহা সড়কের সাইনবোর্ড, শিবু মার্কেট-চাষাড়াতে চলাচলরত ইজিবাইক, মিশুক, অটোরিক্সা থেকে চাদাঁ সংগ্রহ করে থাকে সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিনের কাছের লোক বলে পরিচিত ওহিদ, প্রমিত ও আলমগির। এই সড়কগুলোতে চলাচলরত সাধারণ ইজিবাইক চালকরা এসব চাঁদাবাজদের হাতে একেবারে জিম্মি হয়ে পড়েছে। আর তাই এই চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তাদের আশ্রয়-প্রশয় দাতাদেরকেও আইনের আওতায় আনার দাবি ভুক্তভোগীদের।