নিজস্ব প্রতিবেদক: ফতুল্লার দেওভোগ নাগবাড়ী থেকে গলায় ফাঁস লাগানো রিয়া মনি (১২) নামক এক কিশোরীর ঝুঁলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত রিয়া মনি ফতুল্লা মডেল থানার দেওভোগ নাগবাড়ীর নজির মিয়ার ভাড়াটিয়া রুপ মিয়ার মেয়ে। শনিবার রাতে ফতুল্লার দেওভোগ নাগবাড়ীর নজির মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসা থেকে গলায় ফাঁস লাগানো নিহতের ঝুঁলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। মামলায় উল্লেখ্য করা হয়েছে, নিহত রিয়া মনি দেওভোগ মহিলা মাদ্রাসায় পড়ালেখা করতো। গত ২-৩ মাস যাবৎ পড়া লেখায় তেমন মনোযোগি ছিলোনা। পড়ালেখার কথা বললে সে রাগ করতো। শনিবার দুপুর তিনটার নিহতের মা রিয়া মনি কে একা বাসায় রেখে নিজ কর্মস্থলে চলে যায়। রাত নয়টার দিকে নিহতের ভাই শামীম (২১) নিজ কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে এসে দরজা বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করতে থাকে। কোন সারাশব্দ না পেয়ে বাদী কে মোবাইল ফোনে অবগত করলে বাদী সহ আশপাশের লোকজন রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পায় গলায় ওড়না পেঁচানো সিলিং ফ্যানের সাথে নিহতের ঝুঁলন্ত দেহ। ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জানায়, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের সদস্যদের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।