স্টাফ রিপোর্টারঃ নারায়ণগঞ্জ সদর থানার আলীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের চাচাতো ভাই নাজির নামের ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে নারায়ণগঞ্জ কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। নাশকতা ও দেশকে অস্তিতিশীল করার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। নাজির হোসেন জামায়াত শিবিরের সক্রিয় সদস্য বলে জানা গেছে।
গত রবিবার (২৭মার্চ) রাতে নগরীর জিমখানা মসজিদ মার্কেট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।আটককৃত নাজির হোসেন আলীরটেক ইউনিয়ন ডিক্রিরচর বাসিন্দা মৃত জিকির আলীর ছেলে। পরে তাকে এ বছর ১৪ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা সন্ত্রাসী বিরোধী একটি মামলা গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গ্রেপ্তার অভিযানে অংশ নেওয়া কাউন্টার টেররিজম ইউনিটেডের এক সদস্য জানিয়েছেন উপ পরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে নগরীর জিমখানা মসজিদ মার্কেট থেকে মোঃ নাজির হোসেন কে আটক করা হয়।
স্হানীয় সুএে জানা গেছে আলীরটেক ইউনিয়ন জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী দের অবমূল্যায়ন অভিযোগ রয়েছে। জাকির চেয়ারম্যান
কে স্হানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা হাইব্রিড আওয়ামী লীগ নেতা বলে আখ্যায়িত করে থাকেন।আলীরটেক এলাকাবাসী অভিযোগ চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বহুরুপী।নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও তার বিরুদ্ধে বিএনপি জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজতে ইসলামকে অর্থ দিয়ে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে।
২০২২ সালে ৭ মে রাতের অন্দ্ধকারে চেয়ারম্যান জাকিরের নির্দেশে তার লোকজন সহকারী সহায়তায় নির্মিত ডিক্রিরচর কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ ময়দানের চারপাশের দেয়াল রাতের অন্দ্ধাকরে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় অভিযোগ উঠে।বিগত দুই যুগ ধরে হাজারো মানুষ পবিএ ঈদের দিনে এখানে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছেন।ঈদগাহ উন্নয়নে সরকার কর্তৃক ১০ লাখ টাকা অনুদানও দেয়া হয়।ঈদগাহে দেয়া হয় বাউন্ডারি ওয়াল।কিন্তূ চেয়ারম্যান জাকির সেই ঈদগাহ দখল করে মার্কেট নির্মাণের পাঁয়তারা করেন বলে অভিযোগ উঠে।তার অফিসে বসে আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আব্দুর রহমান ও জামায়েত নেতা নাজির দিয়ে দোকান বরাদ্দ একটি তালিকাও করে ফেলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি এমপি মহোদয়ের দৃস্টি গোচর হলে সেই ঈদগাহ ওয়াল পরবর্তীতে জোড়াতালি দিয়ে যদিও ঠিক করে দেয়,এরপরে আবারও সেই ঈদগাহ মাঠের ভিতরে অবৈধ বাজার বসায়ে সেখান থেকে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এদিকে জাকির হোসেনর চাচাতো ভাই জামায়াত নেতা নাজির হোসেনের নিজের তেমন কোন বড় ব্যবসা না থাকলেও অবৈধ টাকায় ডিক্রীরচরের গোরস্থান সংলগ্ন এক বিশাল বাড়ি নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগে জানা গেছে। তার আয়ের উৎস নিয়েও এলাকায় নানা গুন্ঞ্জন রেয়েছে।
প্রায় এক বছর পূর্বে একটি অনুষ্ঠানে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত আলীরটেক ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন আমি নৌকার প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করলে অনেক বেশী ভোটে নির্বাচিত হতাম।তার এই বক্তব্যের প্রতিবাদে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিল জেলা আওয়ামী লীগ।গত বছরের ২৭ মার্চ চেয়ারম্যান জাকির হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায় স্হানীয় সরকার বিভাগ।পরে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাকে ম্যানেজের মাধ্যমে সে যাএায় রক্ষা পান জাকির হোসেন।
চলতি বছরের ২৭ মার্চ রাতে নাজির হোসেনকে শহরের জিমখানা এলাকার মসজিদ মার্কেট থেকে সিটিটিসির একটি টিম গ্রেফতারের পরে তাকে ছাড়াতে চেয়ারম্যান জাকির হোসেন অনেক চেষ্টা তদবির করলেও শেষ পর্যন্ত তার প্রচেষ্টা সফল হয়নি। তবে গ্রেফতারের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মোটা অংকের অর্থও খরচ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।