শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৮ অপরাহ্ন

পেঁয়াজ রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফরিদপুরের চাষিরা

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ২৭৬ বার পড়া হয়েছে

পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনকে সামনে রেখে “পেঁয়াজের বাল্ব” রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফরিদপুরের চাষিরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বাম্পার ফলন আসা তাদের। এখণ চলছে পুরোদমে বাল্ব রোপনের কাজ। এবছর ৪দফা বন্যা ও অতি বৃষ্টির কারনে নির্দিষ্ট সময়ে জমি থেকে পানি না নামার কারনে পেঁয়াজের বল্ব রোপনে কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। তবে এরই মধ্যে অনেক জমিতে বীজ উৎপাদনের কাজ শুরু হয়ে গেছে। তুলুনামূলক উচু জমি চাষাবাদ করে চাষিরা পেঁয়াজের বাল্ব রোপন শুরু করেছে।

অনেক ক্ষেতে পেঁয়াজ গজিয়ে সবুজ আকার ধারণ করেছে। অনেক জমিতে চাষাবাদ চলছে। চাষিরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের জন্য। ফরিদপুরের মাটি ও আবহাওয়া পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের জন্য উপযোগী হওয়ায় এজেলায় পেঁয়াজ বীজ চাষির সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দেশের মোট চাহিদার ৭৫ভাগ পেঁয়াজ বীজ ফরিদপুর জেলার চাষিরা উৎপাদন করে থাকে। এ বীজের সিংহ ভাগ উৎপাদন করে থাকে অম্বিকাপুরের কৃষানী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বিএডিসির এস এম ই কৃষাণী সাহিদা বেগম। পেঁয়াজ বীজ চাষ করে হয়েছেন কটিপতি। তাকে অনুসরন করে এ অঞ্চলে প্রায় দুুই শতাধিক পেঁয়াজ বীজ চাষি পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনে নেমেছে।

কৃষানী সাহিদা বেগম বলেন, বৃষ্টির কারনে ১৫দিন পিছনে পড়ে গেছি। অন্যান্য বছর এই সময়ের আগে পেঁয়াজের বাল্ব লাগানো শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এবছর আজ পর্যন্ত ৩০ একর জমিতে বাল্ব লাগানো শেষ হয়েছে। এখনও আরো ৪/৫ একর লাগানো বাকি আছে। এখন পুরোদমে চাষাবাদ চলছে, প্রতিদিন মাঠে গিয়ে লেবারদের সাথে কাজ করছি। লেবারদের রান্নাও করতে হয়। মাঝে মাঝে খাবাও তুলে দিতে হয়। লেবারদের সাথে সাথে না থাকলে ঠিকমতো কাজ করেনা। গত বছরের চেয়ে এবছর জমির পরিমান বেড়েছে। প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০জন লেবার কাজ করছে মাঠে। একদল ক্ষেতে বাল্ব রোপন করছে, একদল সেচ দিচ্ছে, কেউ সার ছিটাচ্ছে, কেউ ক্ষেতের আগাছা পরিস্কার করছে। নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে বীজ উৎপাদনের কার্যক্রম চলবে একটানা মে মাষ পর্যন্ত কোন প্রকার প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে। ভাল ফলন পাব বলে আসা করছি। পেঁয়াজ বীজ লাভজনক কৃষি, তবে এতে ঝুঁকিও আছে। ১ একর জমি চাষ করতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খরচ হয় ১লাখ ৪০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা। আর এক একর জমি থেকে ৩শ কেজি বীজ পাওয়া যায়। সরকার পেঁয়াজ বীজ চাষিদের ৯মাসের জন্য ঋণ দিয়ে থাকে। কিন্তু ৯সাসের কারনে চাষিরা উপকৃত হতে পারে না। ঋণের মেয়াদ ১বছর করা হলে চাষিরা তাদের উৎপাদিত বীজ বিক্রিকরে ঋণ পরিষোধ করতে পারবে। ফরিদপুর অঞ্চলে প্রচুর পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন হলেও এখানে বীজ সংরক্ষণের জন্য নেই কোন হিমাগার। জরুরী ভিত্তিতে ফরিদপুরে একটি হিমাগার নির্মানেরও দাকি করেন এই কৃষাণি।

তিনি আরো বলেন, দুই বিঘা জমি দিয়ে শুরু করেছিলাম পেঁয়াজ বীজ চাষ। ধীরে ধীরে জমির পরিমান বাড়িয়ে এখন এই অবস্থানে এসে পৌছেছি। বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থও হয়েছি। আমার পেঁয়াজ বীজ খামারে কাজ করে অনেকেই তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ভালই আছেন। আমার চাষাবাদ দেখে অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক পেঁয়াজ বীজ চাষ করে সাভলম্বী হয়েছেন। সরকারি সহযোগিতা পেলে আগামীতে আমরা আরো বেশী করে বীজ উৎপাদন করতে পারব। বীজ উৎপাদন করে দেশের চাহিদা পুরণ করে আমরা দেশের বাহিও রপ্তানি করতে পারব। গত বছর ২শত মন বীজ পেয়েছিলাম। এবছর ২শ ২০ থেকে ২শ ২৫ মন বীজ পাব বলে আসা করছি।

এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায় চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ১৫শ হেক্টোর জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ হয়েছে। ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. হজরত আলী বলেন, দেশের উৎপাদিত বীজের ৭৫ভাগ ফরিদপুর জেলায় উৎপাদন হয়ে থাকে। এ জেলার বীজের গুনগতমান ভালো হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলার চাষিরা ফরিদপুর অঞ্চলের বীজ সংগ্রহ করে থাকেন। পেঁয়াজ বীজ চাষে চাষিদের বিনামূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষনের জন্য বিভিন্ন পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে।

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০২ পূর্বাহ্ণ
  • ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ
  • ১৫:৩৬ অপরাহ্ণ
  • ১৭:১৫ অপরাহ্ণ
  • ১৮:৩১ অপরাহ্ণ
  • ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ
©2020PrintNarayanganj  All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
%d bloggers like this: