সেখানেই বরুণ তার প্রেমের সেইদিনগুলির কথা খোলাসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে নাতাশার প্রথম পরিচয় যখন আমি ক্লাস সিক্সে পড়ি। এরপর থেকেই আমরা ডেটিং শুরু করিনি অবশ্যই। আমরা খুব ভালো বন্ধু ছিলাম ক্লাস ইলেভেন বা টুয়েলভ গ্রেড পর্যন্ত’। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
স্কুলে নাতাশাকে প্রথম দেখে ঠিক কীরকম অনুভূতি হয়েছিল- এমন প্রশ্নের জবাবে ডেভিড ধাওয়ান পুত্র বলেন, ‘আমার এখনও মনে আছে, আমরা মানেকজি কুপারে পড়তাম।ও ইয়েলো হাউজে ছিল আর আমি রেড হাউজে। বাস্কেটবল কোর্টে প্রথম আলাপ, লাঞ্চ ব্রেকের সময়। কারন ওই টাইমে খাবার আর এনার্জি ড্রিঙ্ক দেওয়া হত। আমার ওর হাঁটাটা মনে আছে। ওকে দেখে আমার মনে হয়েছিল আমি প্রেমে পড়ে গেছি। এটাই ঘটেছিল’।
বরুণ আরও বলেন, ‘নাতাশা আমাকে তিন থেকে চার বার রিজেক্ট করেছে। তবে আমি কিন্তু হাল ছাড়িনি’। অভিনেতা এই রহস্যও ফাঁস করেন যে তার বরাবরের ইচ্ছা ছিল নাতাশার সঙ্গে লিভ ইন করা। তবে পরিবারের আপত্তির কারণেই তা সম্ভব হয়নি। বরুণ বলেন, ‘নাতাশার বাবা-মার এই ব্যাপারটা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। তবে আমার বাড়িতে পুরো উলটো’।
এ বছর নাতাশা করবা চৌথ ব্রতও পালন করেছেন। তারপর তাদের বিয়ের জল্পনা আরও জোরালো হয়েছে। বরুণের হবু স্ত্রী নাতাশা একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। তিনি নিউ ইয়র্ক থেকে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের কোর্স করেছেন।
বরুণ ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম কাজ করেন সহকারী পরিচালক হিসেবে। ‘মাই নেম ইজ খান’ ছবিতে করণ জোহরের সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’-এ নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন বরুণ।
তার উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হলো- ‘হাম্পটি শর্মা কি দুলহনিয়া’, ‘বদলাপুর’, ‘বদ্রীনাথ কি দুলহনিয়া’, ‘কলঙ্ক’ এবং ‘স্ট্রিট ডান্সার থ্রি ডি’, ‘যুগ যুগ জিও’ এবং ‘কুলি নম্বর ওয়ান’। ভক্তরা এখন তাদের চারহাত এক হওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছেন।