করোনা মহামারির পরে চীন এখন শস্য সংকটে পড়েছে। খাদ্য সঙ্কট মোকাবিলায় চীনে একটি নতুন কার্যক্রম চালু হয়েছে। এই কার্যক্রমের নাম দেওয়া হয়েছে, ‘অপারেশন এম্পটি প্লেট’। এই অপারেশনের উদ্দেশ্য হলো রাতে কম খাবার খাওয়া এবং খাবারের অপচয় সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা।
এছাড়াও চীনা সরকার একটি নতুন নীতি বাস্তবায়ন করেছে। এর আওতায় লোকজন এবং হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোকে খাবার নষ্ট করার জন্য জরিমানা করা হবে।
চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং ‘অপারেশন এম্পটি প্লেট’ শুরু করে জানিয়েছেন, এর উদ্দেশ্য মানুষকে যতটা প্রয়োজন ঠিক ততটাই খাবার খেতে উদ্বুদ্ধ করা।
বলা হচ্ছে, খাবার নষ্ট করায় চীন নাকি অনেক এগিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন বেশ কয়েকটি ভিডিও দেখা গেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি এক সঙ্গে ১০টা বার্গার এবং পিজ্জা খাচ্ছে।
উল্লেখ্য, চীনে ‘ওভার ইটিং’ অর্থাৎ একবারে কে কত খেতে পারে এমন একটি চ্যালেঞ্জ দারুণ জনপ্রিয়। বর্তমানে অনেকে এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে বেশি খাওয়ার ভিডিও বানাচ্ছিলেন। কিন্তু এখন থেকে সেটি আইনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।
‘অপারেশন এম্পটি প্লেট’-এর আওতায় চীনে বেশি খাওয়া বে-আইনি হবে। অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার জন্য প্রায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। রেস্তোরাঁগুলো যদি এই আইন লঙ্ঘন করে তবে তাদের উপরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চীনে এই চ্যালেঞ্জের ভিডিওগুলো প্রায়শই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ১০টি পিজ্জার খাবারের চ্যালেঞ্জ নেয়া হয়।
আইনের আওতায় বলা হয়েছে, যেসব টিভি চ্যানেল এসব দৃশ্য বা চ্যালেঞ্জ প্রমোট করবে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যেহেতু চীন শস্য সংকটে ভুগছে, তাই খাদ্য অপচয় রোধে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বলা হচ্ছে, চীনে প্রতি বছর ৩ কোটি টন খাবার নষ্ট হয়। অর্থাৎ মোট উৎপাদনের ৬ শতাংশ শস্য নষ্ট হয়। -কলকাতা২৪