প্রবল শীতে কাঁপছে দেশের উত্তরাঞ্চলে। সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন জেলার পাঁচ শতাধিক চর ও দ্বীপচরের মানুষসহ নিম্নবিত্ত ও ছিন্নমূল মানুষ। তীব্র শৈত্যপ্রবাহের ফলে সেখানকার জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা।
অব্যাহত ঘন কুয়াশা ও কনকনে হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সেখানকার খেটে খাওয়া ও নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষদের।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিস বলছে, কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এক সপ্তাহ জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কোটায় থাকার পর আজ রবিবার হঠাৎ ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে আশায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষ। শনিবার (৩০ জানুয়ারী) ৬টায় কুড়িগ্রামের তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসেয়িাস।
আজ রোববার ৪ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমে গিয়ে মৃদু থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের রূপ নিয়েছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, হঠাৎ করেই কুড়িগ্রামে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। আজ রবিবার সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। যা এ মৌসুমেরও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তিনি আরও জানান, জেলাজুড়ে এই তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ফেব্রুয়ারি মাসের চার তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তীব্র শীতে জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এর বেশিভাগই রয়েছে শিশু রোগী।