খাওয়া দাওয়ায় শক্ত লাগাম, তবুও মিলছে না সুফল? রোজ বাড়ছে ওজন? কিউকাম্বার ডায়েট কি জানেন? ঘুরতে ফিরতে শসা খান। রেজাল্ট পাবেন হাতে হাতে।
অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস। অসময়ে খাওয়া। ঘুম কম। বাড়ির রান্না করা খাবারের বদলে জাঙ্কফুডে উদরপূর্তি। আর ব্রেকফাস্ট বাদ মানেই তো শরীর বরবাদ। চিকিত্সকরাই তো বলেন। কিন্তু আমরা শুনছি কতটুকু। যুগ যত এগোচ্ছে, ততই জীবন হচ্ছে লাগামছাড়া। ভেজাল খাবারের রমরমা। তার সঙ্গে দূষণের করাল থাবা। ওয়ার্কআউটের বালাই নেই। ওবেসিটি মারাত্মক চেহারা নিচ্ছে। শরীরে মেদ জাঁকিয়ে বসা মানেই একাধিক মারণ রোগের হাতছানি। যেন তেন প্রকারেণ ওজন কমাতেই হবে। তাই ব্যালান্স ডায়েট।
ওজন কমানোর মোক্ষম দাওয়াই কিউকাম্বার ডায়েট:
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ঘুরতে ফিরতে শসা। প্রত্যেক খাবারের সঙ্গেই খান শসা। এই সবজিটি ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম, পটাসিয়ামের ভরপুর। এতে ক্যালরির পরিমাণও সামান্য। এছাড়াও এতে জলের পরিমাণ বেশি, রয়েছে কয়েক গ্রাম ফাইবার। এটাই হল কিউকাম্বার ডায়েট। একাধিক গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে, ছোট থেকেই প্রতিদিনের ডায়েটে শসা থাকা মানে রোগমুক্ত জীবন পাওয়ার স্বপ্নপূরণ। কারণ, শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে শসার কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। নিয়মিত শসা খেলে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
তবে হ্যাঁ, শুধু ওয়ার্কআউটেই হবে না। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী, ওজন কমাতে, ত্বকের জেল্লা বাড়াতে এবং দীর্ঘদিন যৌবন ধরে রাখতে কিউকাম্বার ডায়েটের জবাব নেই। ডায়েটিশিয়ান এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অক্ষরে অক্ষরে পালন করলে ফারাক চোখে পড়বে দিন সাতাকেই। শুধু ওজন কমাতে কিউকাম্বার ডায়েটই নয়, সুগার নিয়ন্ত্রণ এবং ক্যানসার প্রতিরোধেও শসার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। প্রত্যেকটা খাবারের পরেই তাই শসা মাস্ট।