বাংলায় বিপুল জয়ের জন্য অবশেষে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নতুন সরকারকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। খবর এনডিটিভির।
এদিকে, নন্দীগ্রামের ফল স্থগিত রাখল নির্বাচন কমিশন।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনিক আধিকারিক আরিজ আফতাব জানিয়েছেন, ফলাফল ঘোষণারর ক্ষেত্রে বেশকিছু প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে ভোট পুনর্গণনা হবে কিনা সিদ্ধান্ত নেবেন রিটার্নিং অফিসার।
তবে ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী নিজ আসনে হারলেও দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে মূখ্যমন্ত্রী হতে বাধা নেই। সংবিধানের আর্টিকেল ১৬৩ ও ১৬৪ অনুযায়ী, কাউকে মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হতে চাইলে বিধানসভার সদস্য হতে হবে। ওই ধারায় বলা হয়েছে, রাজ্যের বিধানসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতারাই মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করবেন। আরও বলা হয়েছে, টানা ছয় মাস মন্ত্রী কিংবা মুখ্যমন্ত্রী থাকতে গেলে তাকে রাজ্যের কোনো একটি আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। অন্যথায় ১৮০ দিন পর তার পদ বাতিল হয়ে যাবে।
সংবিধানের এসব ধারা অনুযায়ী, তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতা ধরে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যান তাহলে তিনি অন্য কোনো একটি আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে আসতে ৬ মাস সময় পাবেন। সেক্ষেত্রে দলের কোনো এক সদস্যকে পদত্যাগ করে তার আসনটি শুন্য করে দিতে হবে।
আর সেখান থেকেই নির্বাচন করে রাজ্যের ২৯৪ আসনের বিধানসভার আইনপ্রণেতা নির্বাচিত হবেন তিনি। এতে স্পষ্ট যে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে মমতার মূখ্যমন্ত্রী হতে বাধা নেই।