তিন দিন আগে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে একজন রোগীর মৃত্যু হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত ছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে বারডেম হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এম দেলোয়ার এ কথা জানান।
তিনি বলেন, তিন দিন আগে ৬৫ বছর বয়সী একজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
এই রোগীর অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস ছিল। তার কিডনির সমস্যা ছিল। তিনি কভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছিলেন।
অধ্যাপক দেলোয়ার বলেন, চিকিৎসার সময় বোঝা যায়নি যে তিনি মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুর পর এটা সন্দেহ করা হচ্ছে।
এদিকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত একজন রোগী এখনো বারডেম হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শনাক্ত হওয়া আরেকজন রোগী অন্য হাসপাতালে চলে গেছেন।
বারডেম জেনারেল হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, ৮ মে ৪৫ বছর বয়সী এক রোগীর শরীরে মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর ২৩ মে ৬০ বছর বয়সী আরেকজনের শরীরেও ছত্রাকজনিত রোগটি শনাক্ত হয়।
তারা জানান, ওই দুই রোগী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন। সুস্থ হওয়ার পরে তারা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত হন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কোনো ফাঙ্গাল ইনফেকশন হয় অতিরিক্ত স্টেরয়েড ব্যবহারের কারণে। করোনা রোগীদের, বিশেষ করে আইসিইউতে থাকা রোগীদের চিকিৎসার প্রয়োজনে স্টেরয়েড দিতে হয়। করোনা থেকে সেরে ওঠার পর অনেকেরই ফাঙ্গাল ইনফেকশন হচ্ছে।
ভারতে মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত প্রায় ৯ হাজার জন এই ফাঙ্গাসে সংক্রমিত হয়েছেন।