রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠ সাভারের আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে তরুণীকে (২২) গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ আসামিকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ছয় আসামিকে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। এ সময় আসামিদের মধ্যে সুমন দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরে আদালত বাকি আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে নেয়া আসামিরা হলেন- আরিয়ান, সাজু, সাইফুল, সোহাগ ও মনোয়ার।
আশুলিয়া থানা পুলিশ ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারীর বোন মানিকগঞ্জে থাকেন। শুক্রবার তিনি বোনের বাসায় যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে নারায়ণগঞ্জে নিজের বাসায় ফেরার জন্য তিনি বাসে ওঠেন। রাত ৮টার দিকে আশুলিয়ার নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে তাকে নামিয়ে দেয়া হয়। এ সময় বাসের জন্য তিনি অপেক্ষা করতে থাকেন।
রাত ৯টার দিকে নিউ গ্রামবাংলা পরিবহনের একটি মিনিবাসের চালকের সহকারী মনোয়ার ও সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম এসে টঙ্গী স্টেশন রোডের কথা বলে তার কাছে ৩৫ টাকা ভাড়া চান। তিনি মিনিবাসে উঠলে গন্তব্যে যাওয়ার আগেই সব যাত্রীকে নামিয়ে দেয়া হয়। চালক বাসটি নিয়ে আবার নবীনগরের দিকে রওনা হন। এ সময় বাসের জানালা ও দরজা আটকে বাসের চালক, সহকারীসহ ছয়জন ওই নারীকে ধর্ষণ করেন।
এ সময় ওই নারীর চিৎকারে টহল পুলিশ বাসটি থামিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। এ সময় ওই ছয়জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন ঢাকার তুরাগ থানার গুলবাগ ইন্দ্রপুর ভাসমান গ্রামের মো: আরিয়ান (১৮), কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনা এলাকার সাজু (২০), বগুড়ার ধুনট উপজেলার খাটিয়ামারি এলাকার সুমন (২৪) ও একই এলাকার সোহাগ (২৫), বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগর গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৪০) এবং নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার ধামঘর এলাকার মনোয়ার (২৪)।
গ্রেফতারকৃতরা সবাই তুরাগ থানার কামারপাড়া ভাসমান এলাকায় ভাড়া থেকে আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল-নবীনগর মহাসড়কে মিনিবাস চালাতেন।
এদিকে নির্যাতিতা ওই তরুণীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগী নারী স্বামী-সন্তান নিয়ে নারায়ণগঞ্জে থাকেন। তিনি সেখানে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। তার স্বামীর বাড়ি লালমনিরহাটে।