নিতাইগঞ্জ থেকে শীর্ষ মাদকের ডিলারসহ ৪ মাদক ব্যবসায়িকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
নারায়ণগঞ্জে শীর্ষ মাদকের ডিলারসহ ৪ মাদক ব্যবসায়িকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাদের কাছ থেকে ১০ কেজি গাঁজা ও ৭২৬ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। এবং মাদক বিক্রির নগদ ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৯০ টাকা ও মাদক ব্যবসার কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মোঃ জাবেদ বেপারী (৩৮), মোঃ হেলাল উদ্দিন (৪৪), মোঃ সাইফুল (২২) ও দিলীপ চন্দ্র রায় (২২)। রোববার (২৭ জুন) রাতে শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকায় একটি প্রাইভেটকার তল্লাশী চালিয়ে মাদক উদ্ধার ও তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার (২৮ জুন) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে র্যাব-১১ এর সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব এ তথ্য জানায়।
র্যাব-১১ এর সিইও লে: কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা পিএসপি জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে প্রায় ডজনখানেক মামলার আসামী মোঃ জাবেদ বেপারীর বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার সৈয়দপুর এলাকায়। সে নারায়ণগঞ্জ জেলার একজন শীর্ষ মাদক ডিলার। মোঃ হেলাল উদ্দিনের বাড়ি নওগাঁ জেলার সদর থানার দারিয়াপুর এলাকায়।
সে একজন শীর্ষ মাদক সরবরাহকারী। ইতঃপূর্বে মাদক পরিবহনের দায়ে তার বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানায় মাদক মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত অপরাপর আসামী মোঃ সাইফুলেরবাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানার বাসন্দি এলাকায় এবং দিলীপ চন্দ্র রায়ের বাড়ি দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ থানার রুইগা এলাকায়। তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তরকৃত আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে দিনাজপুর থেকে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল ও গাঁজা পরিবহন করে নিয়ে এসে নারায়ণগঞ্জের মাদক ডিলার মোঃ জাবেদ বেপারীর নিকট সরাবরাহ করে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৭ জুন দিনাজপুর থেকে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল ও গাঁজার একটি বড় চালান নিয়ে এসে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর মডেল থানাধীন নিতাইগঞ্জ এলাকায় মাদক ডিলার মোঃ জাবেদ বেপারীর নিকট সরবরাহকালে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল কর্তৃক উল্লিখিত উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ হাতে-নাতে গ্রেফতার হয়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা স্বীকার করে যে, তারা সংঘবদ্ধ মাদক পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘদিন যাবৎ তারা দেশের সীমান্ত জেলা দিনাজপুরসহ বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে অভিনব কায়দায় নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজা ও ফেনসিডিল সংগ্রহ করে নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।