প্রিন্ট নারায়ণগঞ্জঃ জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ও বাড়িতে হামলার অভিযোগে জিডি করেছেন খোরশেদের স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা। সোমবার (৯ আগস্ট) দুপুরে তিনি ফতুল্লায় থানায় এই অভিযোগ করেন।এর আগেও তিনি নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা চেয়ে জুন মাসে ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী করেন।
দায়ের করা সাধারন ডায়েরীতে লুনা অভিযোগ করেন, রোববার দিবাগত রাত বারোটার দিকে তার মাসদাইর শেরেবাংলা রোডস্থ তার বাড়ীর গেইটে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ইব্রাহিম চেঙ্গিসের ভাতিজা ইসতু ৪ থেকে ৫ জন সহযোগী সন্ত্রাসী নিয়ে রামদা, বটি, হকিষ্টিক সহ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বাড়ীর সামনের রাস্তায় বাদীর স্বামী ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও বড় ভাই অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের নাম ধরিয়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণ নাশের হুমকী দেয়। পরে তারা তাদের সাথে থাকা সাদা রং এর প্রাইভেটকার (নম্বর- ঢাকা মেট্রো-গ- ১৫-৩৫৩৫) যোগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পুনরায় তারা সংঘবদ্ধ হইয়া রাত ১ টার দিকে প্রাইভেটকারে করে দ্বিতীয় দফায় ঘটনাস্থলে আসে এবং ইসতুসহ অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা হাতে থাকা চাপাতি, বটি এবং হকিস্টিক দিয়ে বাড়ীর গেইটে এলোপাথারি আঘাত ও কোপাইতে থাকে। সন্ত্রাসীদের হামলায় বাদীর স্বামী কাউন্সিলর খোরশেদ এর কার্যালয়ের জানালার গ্লাস, বাড়ীর প্রধান দরজা এবং বাড়ীর বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ঘটনার পরপরই বাদী বিষয়টি ইসতুর চাচা ইব্রাহীম চেঙ্গিসকে অবগত করেন। সাধারন ডায়েরীতে আরো উল্লেখ করা হয় যে, রোববার রাতে হামলার সাথে কাউন্সিলর খোরশেদের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবী করা ও খোরশেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার বাদী সাঈদা আক্তার শিউলি জড়িত রয়েছে। কারণ ইসতুর সাথে শিউলীর ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। সাঈদা আক্তার ওরফে সাঈদা শিউলীর হুকুমে ও ইন্ধনে রোববার রাতের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, সাধারন ডায়েরীটি তদন্ত স্বাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।