খবরে বলা হয়েছে, প্রতিদিন বিক্ষোভ নতুন নতুন শহরে যেমন ছড়িয়েছে তেমনি বেড়েছে গ্রেফতার হওয়া মানুষের সংখ্যা। বিক্ষোভ দমনে পুলিশের উপস্থিতি ছিল ব্যাপক এবং কারফিউ জারি থাকায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর গ্রেফতারের ক্ষমতাও বেড়ে যায়।
এপি’র তথ্য অনুসারে, সবচেয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলসে। এরপর রয়েছে নিউ ইয়র্ক, ডালাস ও ফিলাডেলফিয়া। গ্রেফতারকৃত বেশিরভাগের বিরুদ্ধে কারফিউ ভঙ্গ ও পুলিশের নির্দেশ মতো বিক্ষোভস্থল ছেড়ে না যাওয়ার মতো অভিযোগ রয়েছে। কয়েকশ’র বিরুদ্ধে ডাকাতি ও লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত সপ্তাহে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে রাজনীতিকরা দাবি করে আসছেন, বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মানুষেরা বহিরাগত বা অন্য অঙ্গরাজ্যের। মিনেসোটার গভর্নর দাবি করেছেন, ৮০ শতাংশ বিক্ষোভকারী অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা নন। তবে মিনিয়াপলিসে গ্রেফতারকৃত মানুষের সংখ্যা তাদের এই দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। শনিবার রাত থেকে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রেফতার হওয়া ৫২ জনের ড্রাইভিং লাইন্সেস রয়েছে। হেনেপিন কাউন্টি শেরিফ এই তথ্য জানিয়েছেন।
রাজধানীতে বুধবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার হওয়া চার শতাধিক মানুষের ৮৬ শতাংশ ওয়াশিংটন ডিসি, ম্যারিল্যান্ড ও ভার্জিনিয়ার।
গ্রেফতারকৃত কতজনকে বন্দি করে রাখা হয়েছে তা জানায়নি এপি। করোনাভাইরাস মহামারি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কারাগারেও ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারীদের অনেক সময় জিপ-টাই পরিয়ে বসিয়ে রাখতে বা বাসে করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।
২৫ মে থেকে বিক্ষোভে গ্রেফতার হওয়া তিন সহস্রাধিক মানুষকে সহযোগিতার জন্য লস অ্যাঞ্জেলসে ২০ লাখ ডলারের তহবিল সংগ্রহ করা হয়েছে অনলাইনে প্রচারণার মাধ্যমে।