প্রিন্ট নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের দাশেরগাঁও এলাকায়, গত ২৭শে ফেব্রুয়ারি সন্ধায় স্থানীয় নামধারী ছাত্রলীগ নেতা আরিফুল আলম অপুর সাথে একই এলাকার হাজী আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে হাজী আনোয়ার হোসেনের রাস্তা ও এলাকার দোকানপাট ভাঙ্গা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে বন্দর থানায় পাল্টা পাল্টি দু পক্ষের লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে, আরিফুল আলম অপুর করা অভিযোগে উক্ত এলাকায় কিছুদিন পুর্বে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পুর্ব শত্রুতার জেরে মোঃ আরমান নামে (৩০) বছর বয়সী এক ব্যাক্তিকে সংঘর্ষের ঘটনার মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়।
জানা যায়, গত ২৭ শে ফেব্রুয়ারী বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন এর ফুনকুল স্ট্যান্ডে পলাশ নামে এক ব্যাক্তির সাথে সড়ক দিয়ে বেকু নিয়ে যাওয়ার সময় দোকান ভাঙাকে কেন্দ্র করে হাজী আনোয়ার হোসেনের সাথে কথা কাটাকাটি হলে এক পর্যায়ে স্থানীয় নামধারী ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয় এবং দু-একজন ঘটনাস্থলে আহত হয়। ঘটনায় আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিতে সে সময় আরমান (৩০) নামে এক ব্যাক্তি ঘটনাস্থলে হাজির হয় এবং ঘটনাস্ত আহত হওয়া লোকদের হসপিটালের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার পথে আরিফুল আলম অপুর লোকেরা রাস্তায় গাড়ি অবরোধ করে তাদের গাড়িতে দেশী অস্ত্র তুলে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করে তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেন এবং পূর্ব শত্রুতার জেরে মোঃ আরমানকে উক্ত অভিযোগে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়।
এ ব্যাপারে, কথিত ছাত্রলীগ নেতা, আরিফুল আলম অপুর সাথে সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলে তার পরিবার থেকে কথা বলতে বাধা দেয় ও সাংবাদিদের বাসা থেকে চলে যেতে বলা হয় এবং পরবর্তীতে যোগাযোগ করা হবে তারা জানায়।
এই ঘটনায়, কথিত ছাত্রলীগ নেতা, আরিফুল আলম অপু বাদী হয়ে অনেকের নামে বন্দর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে এবং একটি মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে যাতে বলা হয় মুছাপুর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান মাকসুদের শেল্টারে তার লোকজন পথরোধ করে চাঁদা দাবী করে এতে বাধা দিতে গেলে তাকে কুপিয়ে যখম করে।
ঘটনার সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে জানতে চাইলে বন্দর মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মাকসুদ মুঠোফোনে জানান, তারা দুই পক্ষ আমার লোক তবে যে পক্ষ, তাদের বিষয়ে কিছু জানি না।
তবে ফুলকুন এলাকাবাসীরা জানান, নাম ধারী ছাত্রলীগ নেতা, আরিফুল আলম অপু বেশ কিছু দিন পরে পরেই এমন সব ঘটনা ঘটায় আর এলাকার সাধারন মানুষের উপর অপু ও তার বাহিনী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
আহতর পরিবার ও স্থানীয় সাধারণ মানুষের দাবি আমরা এঘটনার সঠিক বিচার চাই ও দোষীদের শাস্তি চাই। যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।