নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফতুল্লায় আবারো ছিনতাইকারীদের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকটা ফিল্মিষ্টাইলে পথচারীদের অস্ত্রেরমুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে যে সকল মানুষ ছিনতাইকারীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করা হলে হয়তো বা তাদের প্রানে ফেরা ফেলা হচ্ছে অণ্যথায় ছিনতাইকারীদের ছুরির আঘাতে পঙ্গুত্ব বরন করছে। এমনই ঘটনা ঘটেছে ২৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকালে ফতুল্লার রেললাইন বটতলা এলাকায়। এ ঘটনায় মতি নামের এক ব্যাক্তি ছিনতাইকারী শেখ সুমন ওরফে চোর সুমন ও মিরাজ এবং রাকিব নামের তিন ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে মতি জানান, ২৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকালে সে রেললাইন বটতলা ভ্যান গাড়ির গ্যারেজের সামনে রাস্তার পার্শ্বে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে রাস্তার পাশে বসিলে ফতুল্লার পোষ্ট অফিস এলাকার ছিনতাইকারী সুমন ওরফে চোরা সুমন ও রাকিব এবং মিরাজ নামের তিনজন ছিনতাইকারী পেছন হইতে বিভিন্ন ছোরা ও চাকু দিয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে প্যান্টের পকেটে থাকা ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) টাকা এবং হাতে থাকা একটি মোবাইল ফোন যার মূল্য ১৭,৫০০/- (সতেরো হাজার পাঁচশত) টাকা নিয়ে যায়। এ সময় ছিনতাইকারী সুমন আবারো তার অপর পকেটে হাত দিয়ে আরেকটি স্মাট ফোন নেওয়ার চেষ্টার সময় তার ডাকচিৎকারে আশ পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তাকে মারধর শুরু করে। এবং এ বিষয়ে কারো কাছে জানালে জীবনে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। উল্লেখ্য, ফতুল্লার শাহজাহান রোলিং মিল, বটতলা রেললাইন, ইয়াদ আলী মসজিদ সংলগ্ন, খাঁ বাড়ী, চন্দ্রাবাড়ী রেলষ্ট্রেশনসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় উল্লেখিত ছিনতাইকারীদের নিয়ন্ত্রনে ছিনতাই হয়ে থাকে বলে এলাকাবাসী জানান। উল্লেখিত ছিনতাইকারীরা মাসের শুরুর দিকে বেতন পাওয়ার পর পরই সাধারন গার্মেন্ট শ্রমিকদের টার্গেট করে তাদের মিশন বাস্তবায়নে মাঠে নেমে পড়েন। এমনকি গার্মেন্টের কাজ শেষে নারী ও পুরুষ একত্রে বাড়ী যাওয়ার সময় পথিমধ্যে তাদের পথের গতিরোধকরাসহ ব্লাকমেইলিং ধ্যমে সর্বস্ব কেড়ে নেয়া হয় বলেও পথচারীরা অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর-২ জানান, উল্লেখিত ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়াসহ ছিনতাইকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।