নিজস্ব প্রতিবেদক: বিজয় দিবসের একটি অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দিয়েছেন কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নব্য আওয়ামীলীগ নেতা মনিরুল আলম সেন্টু।
তিনি বলেন, কুতুবপুর এলাকাটি ক্রাইম প্রবল এলাকা। তবে, এলাকায় যে সকল অপরাধ কর্মকান্ড সংগঠিত হয় সে সমস্ত অধিকাংশ আপরাধের সাথেই ক্ষমতাসীনদলের আওয়ামীলীগের লোকজনই জড়িত। তাছাড়া, বিএনপির লোকজনতো এলাকা ছাড়া কিভাবে তারা অপরাধ কর্মকান্ড করবে? তারাতো পুলিশের ভয়তে বাড়ীতেই থাকতে পারছেন না! তাই এলাকার শান্তি বজায় রাখতে দলের নাম ব্যবহার করে যারাই অপকর্ম করবে তাদের প্রতিহত করা হবে। এলাকায় মাদক এবং বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত হওয়ার কারনে বারং বারই গনমাধ্যমের পাতায় কুতুবপুরের নামটি উঠে আসে। আর এ অপরাধের সাথে যে সকল ব্যাক্তির নাম উঠে আসে তাদের অধিকাংশই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে তিনি অভিযোগ করেন।
গত ১৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় বিজয় দিবস উপলক্ষে মুন্সিবাগ পঞ্চায়েত কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মনিরুল আলম সেন্টু একথা বলেন। আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুস সাত্তার বিডিআরের সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সেন্টু আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের অহংকার। জাতির শ্রেষ্ট্র সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা এদেশ স্বাধীন না করলে আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র পেতাম না। পরাধীনতার গøানি নয়ে আমাদের বেঁচে থাকতে হতো। আজকে স্বাধীন ভাবে চলাচল করার জন্য একমাত্র অবদান আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের। সেন্টু চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে তুলে ধরেন।
অপরদিকে, নব্য আওয়ামীলীগ নেতা মনিরুল আলম সেন্টুর এমন বক্তব্যে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা বলেন, মনিরুল আলম সেন্টু ছিলেন বিএনপির একজন প্রভাবশালী নেতা। এই মনিরুল আলম সেন্টুর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উপরে হামলা ও মামলার ঘটনা ঘটেছে। দলের বহু নেতা কর্মী তার কারনে নির্যাতিতসহ এলাকা ছাড়া ছিল। বাড়ীঘর ছেড়ে জীবনে বাঁচাতে দেশের এক প্রান্ত থেকে অণ্য প্রান্তে পালিয়ে থাকতে হয়েছে। আজকে সেই বিএনপি নেতা বর্তমানে আওয়ামীলীগে যোগদানের মাধ্যমে দলের লোকজনদেরকেই সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দিচ্ছেন এবং বিএনপির লোকজনদের প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন। মূলত সেন্টু চেয়ারম্যানের গাঁ থেকে এখনো বিএনপির গন্ধ যায়নি। বিএনপি ঘেঁষা এই ধরনের নব্য আওয়ামীলীগারদের কারনেই দলের আজকে এ অবস্থা।
অনতিবিলম্বে মনিরুল আলম সেন্টু চেয়ারম্যানের তার এমন বক্তব্য প্রত্যাহারসহ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। অণ্যথায় এর জন্য দলে বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টি হবে বলে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ মনে করেন। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা আঃ হক, মোঃ রাহাত এবং স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।
তবে এ ব্যাপারে মনিরুল আলম সেন্টু বলেন, আমি সরাসরি কোন দলের নাম ইঙ্গিত করে বলিনি। আমি বলেছি, যে দল ক্ষমতায় আসে তারাই সন্ত্রাসী এবং মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকে।