নিজস্ব প্রতিবেদক: ফতুল্লার কুতুবপুরে বালুভর্তি ট্রাক আটকে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে কুতুবপুরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং লিডার মুজাহিদ এবং মিজানের বিরুদ্ধে।
গত রোববার রাতে কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক মুন্সীর বালু ভর্তি ট্রাক আটকে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির এ অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী
কিশোর গ্যাং লিডার মুজাহিদ এবং মিজানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে লিখিথ অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে চাঁদাদাবির ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এলাকাবাসী এবং কিশোর গ্যাং লিডার মুজাহিদ এবং মিজান বাহিনীর সাথে বাক বিতÐার এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, এ সময় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
সূত্রমতে, বর্তমান সময়ে মূর্তিমান আতষ্কের নাম কিশোর গ্যাং। মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, চুরি ছিনতাই থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে উঠতি বয়সের কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীরা। বিভিন্ন প্রলোভনের মাধ্যমে উঠতি বয়সের ছেলেদের একত্রিত করার মাধ্যমে বিভিনন অপকর্ম করে জনমনে ভীতি সঞ্চার করে ফায়দা হাছিলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠে আসছে কিশোর গ্যাং লিডার মুজাহিদ ও মিজানের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদীন ধরে এলাকায় অপরাধের রাজ্য পরিচালনা করে আসলেও রহস্যজনক কারনে ব্যবস্থা নিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতায় ভয়ংকর হয়ে উঠেছে চিহ্নিত কিশোর গ্যাং লিডার মুজাহিদ এবং মিজানসহ তাদের সহযোগিরা। দ্রæত সময়ের মধ্যে উল্লেখিত কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া হলে কুতুবপুরের সহিদ নগর এলাকায় বড় ধরনের অঘটনের শংকা প্রকাশ করছেন শান্তিপ্রিয় সাধারন মানুষ।
এছাড়াও কিশোর গ্যাং লিডার মুজাহিদ এবং মিজানের অপকর্মের ফিরিস্তি তুলে জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন গুমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। অদৃশ্য ক্ষমতাবলে বার বারই ধরাছোয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছে কিশোর গ্যাং লিডার মুজাহিদ এবং মিজানসহ তার বাহিনীর সদস্যরা। এমতবস্থায় কুতুবপুরের সাধারন মানুষের মনে প্রশ্ন উঠেছে, কিশোর গ্যাং লিডারদের খুটিঁর জোড় অবশ্যই প্রশাসনের চাইতে বেশি! নয়তো বা এত অপকর্ম করে বেড়ালেও কিভাবে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড করেও বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আরো জানা যায়, এই মুজাহিদ মোল্লার বাবা বিএনপি জামাতের নাশকতার সাথে জড়িত। চলতি মাসের ৮ই ডিসেম্বর রাতে কদমতলী থানায় মুজাহিদ মোল্লার বাবা গাজী মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে, সহিদ নগর এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি বলেন, মুজাহিদ মোল্লা আওয়ামী লীগের নেতাদের পিছনে দাড়িয়ে ফটোসেশন করে আওয়ামীলীগার বনে যায়। আওয়ামীলীগের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে কুতুবপুরের সহীদনগরসহ আশেপাশের এলাকায় প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড সংগঠিত করে আসছে। অথচ, এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মুজাহিদের পুরো পরিবার বিএনপি জামায়াতের সক্রিয় সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে, জমি দখল, ইভটিজিং, মাদক কেনাবেচাসহ একাধিক অভিযোগ কদমতলী এবং ফতুল্লা মডেল থানায় দায়ের করা হয়েছে। এই বিষয়ে যুবলীগ নেতা আব্দুল খালেক মুন্সী জানান, আমার বালু ভর্তি ট্রাক আটকে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদা না দিলে তারা আমাকে ব্যবসা করতে দিবে না বলে গহুমকি প্রদান করে আসছে। এ সময় তাদের চাঁদাবাজির বিষয়ে আমিসহ এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে উত্তেৎনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শেখ রেজাউল হক দিপু বলেন, আমাদের কাছে মুজাহিদ কিংবা মিজানের বিরুদ্ধে লিখিত কিংবা কোন অভিযোগ করেননি। যেহেতু, বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে অবগত হয়েছি এলাকার আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রনের স্বার্থে কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরদিকে, অভিযোগের বিষয়ে জানতে মুজাহিদ এবং মিজানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।