প্রিন্ট নারায়ণগঞ্জ: ডিসি অফিস, থানা, শ্রমিক নেতা, অফিস ও বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর পেছনে খরচ করা হয়েছে দেখিয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী বন্ধন পরিবহনের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে কোম্পানীর দুই পরিচালক দেলোয়ার হোসেন দেলু ও লিটনের বিরুদ্ধে। বন্ধন পরিবহনের সাধারণ বাস মালিকরা এই অভিযোগ করেছেন।
বাস মালিকদের কাছ থেকে পাওয়া পরিবহন কোম্পানীটির আয়-ব্যয়ের হিসেব খাতার কিছু ছবি দেখে জানা যায়, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩১ আগষ্ট এই চার দিনে অফিস খরচ দেখানো হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার টাকা। ডিসি অফিসের খরচ দেখানো হয়েছে ১২ হাজার টাকা। ঢাকার এক শ্রমিক নেতার নামে খরচ দেখানো হয়েছে ৭ হাজার টাকা। বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ঢাকায় সড়কের নামে খরচ দেখানো হয়েছে ১৪ হাজার ২০০ টাকা এবং থানার খরচ দেখানো হয়েছে ২৫ হাজার টাকা।
বন্ধন পরিবহনের বাস মালিক হাজী রুহুল আমিন মোল্লা বলেন, বিভিন্ন কথা বলে টাকা কেটে রেখেছে। থানার ওসি, ডিসি অফিস, শ্রমিক নেতা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন কথা বলে টাকা কেটে রাখা হচ্ছে এখনো। তারা আমাদের আয় ও ব্যায়ের হিসেব দেখতেই দেয়না। ৫ তারিখের আগে আওয়ামী লীগের নেতাদের কথা বলে টাকা নিতো কিন্তু এখন তো আওয়ামীলীগ নেই ওরা কাদের টাকা দিচ্ছে? যখন যেই দল আসে সেই দলের নেতাদের উপর ভর করে একটি চক্র আমাদের উপর নির্যাতন করে।
বাস মালিক বাবুল দেওয়ান বলেন, ৫ আগষ্টের পর রাস্তায় কোনো চাঁদা নেই। কোথাও কোনো চাঁদা দিতে হয়না। এরপরও নানা কথা বলে টাকা নেওয়া হচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ করায় আমাদের নামে মামলা দিয়েছে। আমরা ব্যবসায়ী তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করে এখন মামলার আসামী। অফিস খরচের কথা বলে এক দিনে ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা কেটে রাখে। একটা অফিসে চা পানির খরচ কি এতো টাকা? আমরা গোপনে কয়েক দিনের আয়-ব্যয়ের হিসেব জানতে পেরেছি। সরকার পতনের পর থেকে এখন পর্যন্ত কত টাকা বিভিন্ন নামে নেওয়া হয়েছে তার হিসেব দেখলে মাথা খারাপ হয়ে যাবে।
হীরা লাল নামে বন্ধন পরিবহনের আরো এক মালিক বলেন, পরিবহন থেকে চাঁদাবাজী বন্ধ না হলে কখনো বাস ভাড়া কমবে না। বন্ধন দেলোয়ার আর লিটন বন্ধন পরিবহনকে সিটি বন্ধন বানিয়ে আমাদের উপর কব্জা করেছে। কোম্পানীর উল্টাপাল্টা অবাস্তব খরচ দেখিয়ে ওরা আমাদের ক্ষতি করছে। আমরা কিছু বলতে পারছিনা কারণ ওদের পেছনে প্রভাবশালী লোক আছে।