তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া যৌথভাবে আয়োজিত ‘আইডিয়াথন’ প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য পলক একথা বলেন।
পলক বলেন, “বর্তমানে ৬ হাজার ডিজিটাল ডেলিভারি সেন্টারের মাধ্যমে প্রতি মাসে ৬ মিলিয়ন মানুষ ডিজিটাল সেবা পাচ্ছে। কম সময়ে, কম খরচে এবং হয়রানি মুক্তভাবে দ্রুততার সাথে গুণগত মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে।”
বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আইডিয়াথনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “দেশের প্রায় ৭০ ভাগ জনগোষ্ঠী যাদের বয়স ৩৫ এর নিচে তারাই আমাদের আগামীতে নেতৃত্ব দেবে। তরুণ প্রজন্মই ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে ‘লেবার বেইজড্ ইকোনোমি’ থেকে ‘ডিজিটাল ইকোনমিতে’ পরিবর্তন করতে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে।”
তরুণ প্রজন্মকে সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের মেধা ও প্রযুক্তি শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার আহ্বান জানান পলক।
চূড়ান্ত এ প্রতিযোগিতায় ৩০টি দল অংশগ্রহণ করে। বিচারকমণ্ডলীর নির্বাচন শেষে সেরা ৫টি স্টার্টআপকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদল গুলো হল- ছবির বাক্স, কৃষিয়ান, চার ছক্কা লিমিটেড, এএনটিটি রোবোটিক্স লিমিটেড ও রক্ষী লিমিটেড।
বিজয়ী স্টার্টআপরা দক্ষিণ কোরিয়াতে ৬ মাসের বিশেষ প্রশিক্ষণ, ইনকিউবেশন, ফান্ডিং, আন্তর্জাতিক পেটেন্টসহ বিভিন্ন সুবিধা পাবে। পরে প্রতিমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ মজিবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিনা এফ জাবিন, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বক্তব্য রাখেন।