দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪৩ বিলিয়ন বা চার হাজার ৩০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। বুধবার দিনশেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৪৩ দশমিক শুন্য ১৭ বিলিয়ন ডলার। এ পরিমাণ অর্থ দিয়ে প্রায় ১০ মাসের আমদানি দায় মেটানো সম্ভব। সাধারণত কোনো দেশে ৬ মাসের আমদানি দায় মেটানোর মতো রিজার্ভ থাকলে সেটিকে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য যথেষ্ট মনে করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘করোনার এ সময়ে রিজার্ভ বৃদ্ধি আমাদের জন্য স্বস্তির খবর। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দুর্যোগ মোকাবিলার মতো অবস্থার চেয়ে বেশি আছে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’
রিজার্ভে ৪২ বিলিন ডলারের মাইলফলক অর্জনের খবরটি এসেছিল বিজয় দিবসের আগের দিন ১৫ ডিসেম্বর। কয়েকদিনের ব্যবধানে তা ৪৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল। এর আগে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিল গত ২৮ অক্টোবর।
করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর মাস মার্চের শেষে রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। এপ্রিল শেষেও যা হয় ৩২ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার। এরপর প্রতি মাসে বাড়তে বাড়তে তা এই পর্যায়ে এসেছে। এভাবে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ হয়েছে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার।
সূত্র: সমকাল