অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাস টিকা দেশে আমাদানি ও ব্যবাহারের অনমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। সোমবার বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা বেক্সিমকোকে নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) দিয়েছি। তারা চাইলে এখন টিকা আনতে পারবে।
অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আইয়ুব হোসেন বলেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আমদানি ও ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তাই বেক্সিমকোর আবেদনের পর এনওসি দেওয়া হয়েছে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উৎপাদন করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। সেই টিকা সেরামের কাছ থেকে বাংলাদেশে সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি রয়েছে এখানে।
এ টিকা সেরাম তৈরি করবে ‘কোভিশিল্ড’ নামে। টিকাটি কেনার জন্য সরকার গত ১৩ ডিসেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে শুরু করে পরবর্তী ছয় মাসে ৫০ লাখ করে মোট তিন কোটি টিকা পাওয়ার কথা বাংলাদেশের।
ভারত সরকারের ওষুধখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সম্প্রতি কোভিশিল্ডের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। এ উদ্যোগ বাংলাদেশের দ্রুত টিকা প্রাপ্তিতেও আশা দেখায়।
তবে রোববার ও সোমবার রয়টার্স, এপিসহ বিভিন্ন বার্তা সংস্থা ও একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমে সেরামের প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালার সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর বাংলাদেশের দ্রুত টিকা পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দেয়।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সেরাম ইনস্টিটিউট বলেছে, তারা আগামী দুই মাস ভারতে টিকার স্থানীয় চাহিদা পূরণ করবে। এরপরই রপ্তানির উদ্যোগ নেবে।
সূত্র : সমকাল