ওজন বাড়ানো যতটা সহজ, ঠিক ততটাই কঠিন ওজন কমানো। অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে গিয়ে রীতিমতো বেগ পেতে হয় মানুষজনকে। এ ক্ষেত্রে অনেকে ফ্যাটহীন ডায়েটে ডুব দেন। অনেকে আবার ডায়েট-বিশেষজ্ঞদের বেঁধে দেওয়া রুটিনে কঠোর ভাবে দিনযাপন শুরু করেন। তবে কিছু খাদ্য উপাদান রয়েছে, যা দ্রুত মেদ ঝরাতে ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। এমনই এক পানীয় হল গুড় ও লেবুর জুস। কিন্তু কী ভাবে কাজ করে এটি? আসুন, জেনে নেওয়া যাক বিশদে।
কী ভাবে কাজ করে গুড় ও লেবু।
ডায়েট-বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গুড় শরীরের মৌল বিপাকীয় হারের (গবঃধনড়ষরংস) পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এর জেরে দ্রুত ওজন কমানো যেতে পারে। এ ছাড়া গুড়ের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইবার থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ ও কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় গুড়।
অন্য দিকে, শরীরের ডিটক্সিফিকেশনের কাজে সাহায্য করে লেবুর রস। পরোক্ষ ভাবে এটিও ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও এর মধ্যে পলিফেনল অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস থাকে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। লেবুর রসে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস মূলত ফ্যাট জমতে বাধা দেয়। পাশাপাশি খউখ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
এই সমস্ত কিছুর পাশাপাশি চিনির একটি স্বাস্থ্যকর পরিবর্ত হল গুড়। এতে ক্যালোরির পরিমাণও কম। এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত করে। এ ছাড়াও লেবু ও গুড় একসঙ্গে হজম প্রক্রিয়া ও শ্বাসযন্ত্র ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
গুড় ও লেবুর এই বিশেষ পানীয় তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উপাদান:
এই পানীয় তৈরিতে দু’টি প্রধান উপাদান হল গুড় ও লেবু। রান্নাঘরে সহজেই পাওয়া যায় দু’টি উপাদান। পর্যাপ্ত পরিমাণে লেবুর রস বের করে নিতে হবে। আর সহজেই তৈরি করা যাবে এই পানীয়।
কী ভাবে তৈরি করা যাবে এই পানীয়:
এ ক্ষেত্রে প্রথমে এক গ্লাস ঈষৎ-উষ্ণ জল নিতে হবে। এর পর সেই ঈষৎ-উষ্ণ জলে এক চা চামচ মতো গুড় দিতে হবে। এ বার ভালো করে চামচ দিয়ে গুলে নিতে হবে। এর পর এই পানীয়তে এক চা-চামচ পরিমাণ লেবুর রস যোগ করতে হবে। তার পর ভালো করে চামচ দিয়ে নাড়িয়ে নিতে হবে। তৈরি হয়ে যাবে গুড়-লেবুর বিশেষ পানীয়।
ডায়েট বিশেষজ্ঞদের কথায়, ওজন কমানোর জন্য প্রতি দিন খালি পেটে পান করা যেতে পারে গুড়-লেবুর এই বিশেষ পানীয়।