প্রিন্ট নারায়ণগঞ্জঃ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে সাম্প্রদায়িক পরিবেশ সৃষ্টির জন্যে কোনো কোনো ব্যক্তি উস্কানি দিচ্ছে। আমরা নিন্দা জানাই তাদের প্রতি। আমাদের মাসদাইরে মহাশ্মশানের উন্নয়ন কাজ চলছে কিন্তু এই শ্মশানের মাটি নিয়ে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এখানে যদি ধর্মীয় কোন অনুভূতি থাকে তাহলে সে অনুভূতিতে আঘাত করার অধিকার কারো নাই। শ্মশানের মাটি গোরস্থানে দিবেন আর গোরস্থানের মাটি শ্মশানে দিবেন যদি বিষয়গুলোতে ধর্মীয়ভাবে বিধি-নিষেধ থাকে তাহলে তা ভালোভাবে বিবেচনা করে কাজগুলো করা উচিত ছিলো। যদি এ ঘটনার জন্যে নারায়ণগঞ্জে কোনো সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট সংস্থা নারয়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) দায়ী থাকবে।
বুধবার (১১ আগস্ট) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে সারাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনা নিয়ে অনেক মিথ্যাচার হচ্ছে। বলা হচ্ছে অমুক বলেছে তমুক বলেছে যার জন্যে এটা করা হয়েছে। আবার বিবৃতি দিয়ে বলা হলো যে এটা বলা হয়নি। শ্মশানের মাটি দেয়া নিয়ে যদি বির্তক সৃষ্টি হয় এবং হিন্দু ধর্মালম্বী গোষ্ঠী আঘাত পায় এটা কিন্তু দুভার্গ্যজনক ঘটনা হবে। নারায়ণগঞ্জে অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে আমি সর্বমহলের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ রাখছি।
এসময় মানববন্ধনে খুলনায় রূপসা উপজেলার শিয়ালি গ্রামে মন্দির, হিন্দু মালিকাধীন দোকানপাট ও বসতভিটায় হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি জানান নেতৃবৃন্দরা।
মানববন্ধনে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপক কুমার সাহার সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরুন কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক উত্তম সাহা, ফতুল্লা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রঞ্জিত কুমার মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক শিবু দাস, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শিশির ঘোষ অমর, সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র বর্মণ, বন্দর উপেজলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শংকর দাস, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল বিশ্বাস, সোনারগাঁ থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. প্রদীপ ভৌমিক প্রমুখ।