অনলাইন ডেস্ক :নারায়ণগঞ্জ জেলার ৭টি থানা এলাকার মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা বাদে বাকি ৬টি থানা এলাকার প্রায় ৩৬টির মত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনযোগ্য। গত ২ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন দেশের বিভিন্ন জেলায় ১৬১টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহণ আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করেছে। এমন নির্বাচনী হাওয়ার পর নারায়ণগঞ্জের ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়েছে।
প্রতিটি পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যানরা রয়েছেন দলীয় প্রতীকের আশায়। যে কারনে তারা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় নেই। তবে তাদেরকে পেছনে ফেলে দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হওয়ার লক্ষ্যে পুরোদমে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন চেয়ারম্যান প্র্রার্থীরা। জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীক ও জাতীয়পার্টির মনোনয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের লক্ষ্যে পুরোদস্তর নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন। যেখানে বর্তমান চেয়ারম্যানরা রয়েছেন নীরব। তাদেরকে বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজ ছাড়া ভোট প্রার্থনা কিংবা নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা, কর্মীসভা উঠান বৈঠকে দেখা যাচ্ছেনা।
কিন্তু দিন রাত পরিশ্রম করছেন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। জেলায় প্রায় দুই শতাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থীরা এসব ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছেন। তবে সরকারি দল ও সরকারি দলের শরীক দল জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে থাকলেও বিএনপি কিংবা অন্যান্য দল থেকে নির্বাচনের জন্য কোনো চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নির্বাচনী মাঠে এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছেনা।
জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন আওয়ামীলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী সায়েম আহাম্মেদ। সোনারগাঁও মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দিন রাত মানুষের মাঝে কাজ করছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হাজী শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনি। নৌকা প্রতীক প্রত্যাশি এই দুুই চেয়ারম্যানপ্রার্থী ভোটারদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
আড়াইহাজার উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়ন পরিষদে তরুণ চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করছেন জুনায়েদ ভুঁইয়া প্রিন্স। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিংহভাগ নেতাকর্মীরা এখন তার পক্ষে কাজ করছেন। রূপগঞ্জের ভুলতা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নৌকা প্রতীক প্রত্যাশা নিয়ে প্রতিদিন উঠান বৈঠক করে বলেছেন আওয়ামীলীগ নেত্রী শামীমা আক্তার ঝিনু।
এ ছাড়াও সোনারগাঁও সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দীন সাবু, সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাকির হোসাইন, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন থেকে যুবলীগ নেতা রুবায়েত হোসেন শান্ত, আওয়ামীলীগ নেতা আল আমিন সরকার, বারদী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যুবলীগ নেতা কামাল হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান বাবুল, জামপুর ইউনিয়নে যুবলীগ নেতা দেওয়ান শরীফুল ইসলাম, শম্ভপুরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মহিলা লীগ নেত্রী অ্যাডভোকেট নূরজাহান বেগম, কাঁচপুর ইউনিয়ন থেকে লিটন খান ও নোয়াগাঁও ইউনিয়ন থেকে সাইদুর রহমান মোল্লা নৌকা প্রতীকের প্রত্যাশা নিয়ে পুরোদমে নির্বাচনী মাঠে কাজ করে চলেছেন।
এদের মধ্যে জামপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জাতীয়পার্টির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণায় রয়েছেন আশরাফুল ভুঁইয়া মাকসুদ ও মোগরাপাড়া ইউনিয়ন থেকে কাজী নাজমুল ইসলাম লিটু। এদিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আওয়ামীলীগ নেতা জসিম উদ্দীনও নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদে বিগত নির্বাচনের নৌকার প্রার্থী সিকদার গোলাম রসূল শারীরিক অসুস্থতায় বিশ্রামে থাকলেও তারা পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় তার লোকজন।
নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন থেকে আওয়ামীলীগ নেতা কাজিম উদ্দীন ভুঁইয়া ও আক্তার হোসেন নির্বাচনী প্রচারণায় রয়েছেন। ধামগড় ইউনিয়ন থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় আজিজুল হক আজিজ পুুরোদস্তর।