বৃহস্পতিবার (০৪ আগষ্ট) ভোর ৪ টায় বুড়িগঙ্গা পরিবহন ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৩৫৮১ এর দূরপাল্লা বাসটি জামালপুর থেকে ছেড়ে নারায়ণগঞ্জ চাষাঢ়া আসার পথিমধ্যে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা হতে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যাত্রীবেশে ৩ জন ডাকাত গাড়িতে উঠে। গাড়ী কিছুটা পথ অতিক্রম করলে হঠাৎ তাদের মধ্যে একজন বাস চালকের গলায় ছুড়ি ধরে এবং বাকি ২ ডাকাত পুরো বাসটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করে। ঐসময় বাসে যাত্রীর সংখ্যা ছিল অন্যদিনের চেয়েও একটু বেশি। ২/৩ জন সাহসী যাত্রী ডাকাতদেরকে বাঁধা দিলে ডাকাতরা এক পর্যায়ে নাজেহাল হয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক ২ ডাকাত বাস থেকে লাফিয়ে পালাতে সক্ষম হলেও ডাকাত দলের এক সদস্য নেছার উদ্দিনকে আটক করে যাত্রীরা। যাত্রীরা ডাকাত নেসার উদ্দিনকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে চাঁনমারি রেললাইন আর্মি মার্কেটের বাস টার্মিনাল নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। নেছার উদ্দিন (৩২)
আটককৃত ডাকাত নেছার উদ্দিন’র মাধ্যমে জানা যায়- ডাকাতিকালে তার সাথে সমির ও আলমগীর ছিলো। এছাড়াও তাদের মোট ৫ জনের একটি গ্যাং রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে সেন্টু, আলমগীর, সৈকত ও সমির। গত ০২ আগষ্ট তারা একটি বাস থামিয়ে ১৪ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে গেছেন বলেও জানায় ডাকাত নেছার উদ্দিন।
বাস, মিনিবাস ও দূরপাল্লা পরিবহন নেতারা জানান- প্রতিনিয়ত এধরনের হয়রানীর স্বীকার হচ্ছি আমরা। ডাকাতরা গাড়ীর চালক ও যাত্রীদের কাছ থেকে সর্বস্ব কেড়ে নিচ্ছে। আমরা এর আগেও র্যাব ও পুলিশের নিকট একাধিকবার অভিযোগ করলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এবার আমরা এর থেকে পরিত্রাণ চাই। নতুবা আমরা বাস মালিক ও শ্রমিক নেতা সকলে মিলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে পরিবহন ডাকাতদের বিরুদ্ধে রাজপথে নামতে বাধ্য হবো।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাস, মিনিবাস ও দূরপাল্লা মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ দিদারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রওশন আলী সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইদুর রহমান সেন্টু ও পরিবহন নেতা মোঃ রকি সহ অন্যান্য নেতা-কর্মীবৃন্দ।