নিজস্ব সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়ে ১৬ জন দালালকে আটক করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমির খসরু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সাইনবোর্ডস্থ নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সামনে থেকে ও-ই দালাল চক্রের ১৬ জন সদস্যকে আটক করা হয়।
আটক করার সময় দালাল চক্রটি কাছ থেকে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ডিউটি অফিসারের ১টি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ১৪টি সিল, বিভিন্ন নামে জাল স্ট্যাম্পে ৬৪টি রোটারী পাবলিক কপি, অবৈধ্য প্রক্রিয়ায় তৈরি হওয়া ১১৪টি পাসপোর্ট সহ ২০ হাজার টাকাও জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আড়াইহাজার উপজেলার চৌধুরীপাড়া এলাকার মমুত রাম চন্দ্র চক্রবর্তী’র পুত্র সুমন চক্রবর্তী (৪৩), সোনারগাঁও উপজোলার বরত এলাকার মৃত সুমন্ডু রায়’র পুত্র সাদ্দাম হোসেন মামুন (২৫), কুমিল্লা দাউদকান্দি উপজেলার মালাখোলা এলাকার আব্দুর রাজ্জাক’র পুত্র মোহাম্মদ কামাল (৩৪), মুন্সীগঞ্জ টঙ্গীবাড়ী এলাকার মোঃ আবুল হোসেন’র পুত্র মোঃ আলমগীর (৪৩), ফতুল্লা কুপুবপুর শাহি মহল্লার মোহাম্মদ হোসেন পাটোয়ারী’র পুত্র ইয়াসিন আরাফত (৩২), লক্ষিপুর রায়পুর ভুঁইয়া বাড়ির কবির হোসেন’র পুত্র মোঃ ইয়াসিন রানা (২৮), শরিয়তপুর পালং উপজেলার চর স্বার্ণঘোষ এলাবার খালেক সরদার’র পুত্র আনোয়ার (৩৫), সিদ্ধিরগঞ্জ জালকুড়ি পশ্চিম পাড়া এলাকর মোঃ হাবিবুর রহমান’র পুত্র মোঃ হাসিবুল হাসান শান্ত (২৫), ফতুল্লা কুতুবপুর মাহমুদপুর এলাকার শহিদুর ইসলাম খোকন’র পুত্র ইমরান হোসেন শান্ত (২০), ফতুল্লা দেলপাড়া এলাকার মৃত জালাল উদ্দিন’র পুত্র মোঃ রবিউস সানি (২২), সিদ্ধিরগঞ্জ জালকুড়ি মাইঝপাড়া এলাকার আব্দুল গফুর’র পুত্র মোঃ গোলাম রাব্বি, ফতুল্লা পশ্চিম পাড়া শাহি মহল্লার মোঃ সেকেন্দার আলী’র পুত্র মোঃ রফিকুল ইসলাম (২৯), বন্দর নবীগঞ্জ স্টান্ডের পর্ব পাশের জামান’র পুত্র সিফাত হাসান (২৯), সিদ্ধিরগঞ্জ মৌচাক এলাকার লিটন মিয়া’র পুত্র রাব্বি সালাম লিমন (২৮) ও বন্দর উপজেলার আলী নগর এলাকার আবুল হোসেন’র ছেলে আল-আমিন (৪০)।
আমির খসরু জানান- দীর্ঘদিন যাবত নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সামনে দালাল চক্রটি পাসপোর্ট করে দেয়ার নামে সরকারী রাজস্ব থেকে কয়েক গুণ বেশী টাকা নিয়ে নিরীহ পাসপোর্টধারীদের হয়রানী করে আসছিল। তবে মূল চক্রটিকে আমরা আটক করতে পেরেছি। এর বাহিরে আরও কিছু থাকতে পারে। আমরা তাদেরকে খুব দ্রুতই আইনের আওতায় আনবো। ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করছি। একই সাথে পাসপোর্ট অফিস সহ অন্যান্য অফিসের কেউ যদি জড়িত থাকলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।