নিজস্ব সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে দুই কন্টেইনার টেইলার থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩৬ হাজার ৮১৬ বোতল বিদেশী মদ আটক করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩৭ কোটি টাকা। আটক করা ও-ই মদ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ধ্বংস করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ র্যাব-১১ এর সদর দপ্তরে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক নারায়ণগঞ্জ জেলার বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারহানা ফেরদৌস, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট ও জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রসিকিউশন) এর উপস্থিতিতে ও-ই কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
মাদক ধ্বংসকরণ কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- র্যাব ফোর্সেস এর মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম. খুরশীদ হোসেন।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- র্যাব-১১ অধিনায়ক (সিইও) কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তাফা রাসেল পিপিএম(বার) সহ র্যাব ও বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এসময় র্যাব ফোর্সেস’র মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম. খুরশীদ হোসেন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন- অনেক তরুণ বাড়ি থেকে পালিয়ে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়ে কেউ কউ বান্দরবনে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেখানকার জঙ্গিরা এখন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গভির দুর্গম এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। তাদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন- সমাজকে এ-ই ভয়াবহ মাদকের ছোবল হতে সুরক্ষা করতে আইন-শৃংখলা বাহিনীর অভিযান পরিচালনার পাশাপাশী সমাজের সকলকে মাদকের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলতে হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৩ জুলাই সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১ একটি আভিযানিক দল সোনারগাঁও থেকে চট্টগ্রাম হতে ঢাকাগামী মহাসড়কের উপর থেকে সন্দেহজনক দুইটি কন্টেইনার টেইলার হতে তল্লাশী চালিয়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩৬ হাজার ৮১৬ বোতল বিদেশী মদ আটক করে। যার বর্তমান মূল্য প্রায় ৩৭ কোটি টাকা। ওই ঘটনায় মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম’র ২ পুত্র সহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে সোনারগাঁও থানায় একটি মামলা হয়। মামলার তিন আসামী গ্রেফতার হলেও পরবর্তীতে একজন জামিনে বের হয়ে আসেন।