এদিকে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, লোডশেডিং হচ্ছে না। ট্রান্সর্ফারের কাজ করার জন্য বিদ্যুত বন্ধ রাখা হয়।
শহরের বিভিন্ন স্তরে কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গরমের পাশাপাশি লোডশেডিং শুরু হওয়ায় তাদের দুর্বিষহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। দিনে গাছ তলা কিংবা খোলা মাঠে সময় কাটাতে পারলেও রাতে লোডশেডিংয়ের কারণে তারা ঘুমতে পর্যন্ত পারছেন না।
নারায়ণগঞ্জ শহরের পালপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুবাস কুমার জানান, একে তো প্রচণ্ড গরম, তার ওপর শনিবার রাতে দফায় দফায় যেভাবে বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা কারায় তিনি দুই চোখের পাতা এক করতে পারেননি।
শহরের দেওভোগ এলাকার বাসিন্দা কাদির মিয়া বলেন, গরমের কারণে রোজা রাখতে সমস্যা হচ্ছে। ইফতার, তারাবি ও সেহরির সময়ও বিদ্যুৎ চলে যায়। বেশি সমস্যা হচ্ছে তারাবি পড়তে গিয়ে।
শহরের জামতলা এলাকার এক গৃহিণী মোসা. পারভিন বলেন, ‘সারা দিন রোজা রেখে ইফতার রান্না করতে হয়। চুলার আগুনের তাপ আর বাইরে সুর্যের তাপে অবস্থা এমনিতেই খারাপ। এরকম সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে কাজ করতে বেশি কষ্ট হয়।’
শহরের রিকশাচালক সামাদ আলী বলেন, ‘যে গরম পড়ছে তার মধ্যে রিকশা চালানো কঠিন হইয়া যায়। কিন্তু রিকশা না চালাইলে খাবো কী, তাই রিকশা নিয়ে বের হতে হইছে। গরমে প্রাণ যায় যায় অবস্থা।’
নারায়ণগঞ্জ আবহাওয়া আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে তীব্র দাবদাহ চলছে। এটি আরও দুই-তিনদিন স্থায়ী হবে। এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ সেলসিয়াস। এভাবে প্রতিদিনই নারায়ণগঞ্জের তাপমাত্রা বেড়ে চলছে। যদিও সোমবার সকাল থেকে তামপাত্রা অনেকটা কমতে শুরু করেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি (ডিপিডিসি) নারায়ণগঞ্জ দক্ষিন অঞ্চিলের সহকারি প্রকৌশলি শেখ আব্দুল আলি জানান, ‘আসলে লোডশেডিং হচ্ছে না। বর্তমানে তাপমাত্রা যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, এজন্য মানুষ বিদ্যুতের ব্যবহার বেশি বেশি করছে। যার কারনে আমাদের অনেকগুলো ট্রান্সফর্মার লোড নিতে পারছে না আর সেগুলোতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই যখন আমরা ওই ট্রান্সফর্মার গুলো মেরামত করতে যাই তখন ওই এলাকার বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হয়।’
অন্য দিকে, একই কথা বলছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি (ডিপিডিসি) ফতুল্লা অঞ্চিলের সহকারি প্রকৌশলি মো. আব্দুল হাই। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন স্থানে কাজের জন্য বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ করা হয়। লোডশেডিং নাই।’