কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিলেছে দুই কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৯ টাকা। আজ শনিবার দিনব্যাপী গণনা শেষে বিকালে এ টাকার হিসাব পাওয়া যায়। এছাড়াও অনেক স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া গেছে দানবাক্সে।
এবার চার মাস ২৭ দিন পর মসজিদের দানবাক্স খোলা হলো।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন দুই কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা এবং স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া গিয়েছিল।
পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত উদ্দিন ভূইয়া জানান, জেলা প্রশাসক শামীম আলম গণনা চলাকালে মসজিদে এসে পরিদর্শন করেন। গণনা তদারকি করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা ইয়াসমিনসহ চারজন ম্যাজিস্ট্রেট।
সকাল ৮টায় গণনা শুরু হয়ে চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। টাকা গণনায় অংশ নেন মাদ্রাসার ১১২ জন ছাত্র, পাগলা মসজিদের ৩৪ জন স্টাফ, ১০ জন আনসার ও রূপালী ব্যাংকের ৬০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী। প্রথমে ৮টি সিন্দুকের টাকা ১২টি বড় বস্তায় ভরা হয়। পরে মসজিদের মেঝেতে রেখে গণনার কাজ শুরু হয়।
দানকৃত টাকায় পাগলা মসজিদ ও ইসলামী কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে অবশিষ্ট টাকা জমা রাখা হয় রূপালী ব্যাংকে। দানের টাকা থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেয়া হয়। এছাড়াও অসহায় ও জটিল রোগে আক্রান্তদেরও সহায়তা দেওয়া হয়।