প্রিন্ট নারায়ণগঞ্জঃ বিধি নিষেধ বা কঠোর লকডাউনের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত ৪ দিনে নারায়ণগঞ্জে ৮জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এর মধ্যে ৭জনই মারা গেছেন কোভিড ডেডিকেটেট হাসপাতালে আইসিওতে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। এখনও আইসিও বেড খালি নেই বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল বাসার।
সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী ২৩ জুলাই কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে মারা গেছেন ৩ জন। যার মধ্যে দুইজন কোভিড ডেডিকেটেট হাসপাতালে (৩০০ শয্যা হাসপাতাল পরিচিত) আরেকজন বাসায়। ২৪ জুলাই ৪জন মারা যায়। আর এ ৪ জনই কোভিড ডেডিকেটেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। ২৫ জুলাই মারা যায় আরো একজন হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায়।
এর সঙ্গে আক্রান্তও বাড়ে চলেছে ধারাবাহিক ভাবে। ২৩ জুলাই আক্রান্ত ৯০ জন, ২৪ জুলাই আক্রান্ত ১৫৫ জন, ২৫ জুলাই ১৯৬ জন ও ২৬ জুলাই ১৮১ জন।
সরেজমিনে দেখা যায়, কোভিড ডেডিকেটেট হাসপাতালে প্রতিদিনই করোনা সন্ধেহ পরীক্ষার জন্য মানুষের লাইন বেড়ে চলেছে। অনেকেই আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হচ্ছেন। ফলে হাসপাতালে তুলনামূলক রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে।
৩০০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল বাসার বলেন, ‘করোনা সংক্রামণ দিন দিন বেড়ে চলেছে। মানুষকে সচেতন হতে হবে। এর বিকল্প কোন রাস্তা নেই।’
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে সাধারণ বেড ৪০টি খালি আছে। তবে আইসিও বেড একটিও খালি নেই। খালি হলেও মুহূর্তেই সেটা ফিলাপ হয়ে যাচ্ছে। আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। অক্সিজেন সাপ্লাইও ভালো আছে। কোন সংকট নেই। কিন্তু মানুষকে সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। অন্যথায় সাধারণ বেডও এক সময় ফিলাপ হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৮১ জন কোভিড-১৯ পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। ফলে ১০০ জনে সংক্রমণ হার ২১ দশমিক ৮১। এতে করে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২ হাজার ৯৮৪জন। এ নিয়ে জেলায় ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৮ হাজার ৪৩৬ জন পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে মারা গেছেন ২৫০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ২০২ জন।