প্রিন্ট নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জ বন্দরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ছাত্রলীগ কর্মী বাপ্পি সাউদকে (২৮) প্রকাশ্যে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে স্থানীয় টিটু ও সৌরভগং। এ ঘটনায় আহত ছাত্রলীগ কর্মী বাপ্পি সাউদ বাদী হয়ে বুধবার ২৮জুলাই সকালে ১৩জনকে আসামী করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বন্দর থানা পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে এজাহারভুক্ত ১নং আসামী আনিছুর রহমান টিটুকে গ্রেফতার করে বুধবার দুপুরেই নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
আসামীরা হচ্ছে বন্দর থানাধীণ দক্ষিন লক্ষনখোলা এলাকার মোস্তাক আহমেদের ছেলে আনিসুর রহমান টিটু, মহিউদ্দিন মিয়ার ছেলে সৌরভ, মৃত মোবারক মিয়ার ২ ছেলে রাজু ও মিন্টু, আবুল মিয়ার ২ ছেলে সোহাগ ও শান্ত, মতিন মিয়ার ছেলে রিংকু, তাইজুল মিয়ার ছেলে ৩ ছেলে রাহাত, রাসু ও ইমন, মঞ্জুর মিয়ার ছেলে আকাশ, আসলাম মিয়ার ছেলে বাবু,আফজাল মিয়ার ছেলে শুভ।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, দক্ষিন লক্ষনখোলা এলাকার মৃত মনির হোসেনের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী বাপ্পি সাউদের সাথে একই এলাকার মোস্তাক আহমেদের ছেলে আনিসুর রহমান টিটু, মহিউদ্দিন মিয়ার ছেলে সৌরভসহ উপরোক্ত উল্লেখিত আসামীদের সাথে জায়গা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ চলছিল। গত ২৬ জুলাই সাড়ে ৭টার দিকে ছাত্রলীগ কর্মী বাপ্পি সাউদ তার বাড়ি থেকে দক্ষিন লক্ষনখোলা মাদ্রাসা স্ট্যান্ড সংলগ্ন চায়না কোম্পানী সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তার পথ রোধ করে সন্ত্রাসী আনিছুর রহমান টিটু ও সৌরভের নেতৃত্বে উল্লেখিত ২০/৩০জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। বাপ্পি সাউদ প্রতিবাদ করলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী সৌরভ ও রাজু তাদের হাতে থাকা চাপাতী ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে বাপ্পি সাউদের পিঠে ও ডান হাতে জখম করে। খবর পেয়ে ভাইকে বাচাতে বাপ্পি সাউদের ছোট ভাই শহিদুল এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাকেও কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শহিদুল বলেন,মামলায় অভিযুক্ত একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।