প্রিন্ট নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জে করোনায় দাফন সৎকার সহ কার্যক্রমে সক্রিয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের বিরুদ্ধে এবার আদালতে ধর্ষণ মামলার আবেদন করা হয়েছে। আদালত মামলার আর্জি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেছেন।
বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে এক নারী (৪৪) বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুন্যাল আদালতে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বিভিন্ন সময় ওই নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ের প্রলোভনে দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন। সেই সাথে প্রতারণা করে নারীর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ গ্রহণ করেন।
মামলায় আরও উল্লেক করা হয়, ভুক্তভোগী নারী এক পর্যায়ে মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে বিয়ে করার কথা বললে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। নারীর সাথে কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানায়।
এর আগে কাউন্সিলর খোরশেদের বিরুদ্ধে একটি ডিজিটাল মামলা দায়ের করা হয়। গত ৮ জুলাই আদালতে ওই চার্জশীটটি দাখিল করা হয়।
আদালত ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে চার্জশীটে ৯জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। তার মধ্যে পুলিশের ফতুল্লা মডেল থানার ওসি, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিজে, সিআইডির ফরেসনিক বিভাগের পরিদর্শক, মামলার বাদী ও গাড়ির চালকও রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম জানান, কাউন্সিলর খোরশেদ ও ও ফেরদৌসি আক্তার মোসকানের বিরুদ্ধে ৯ জন সাক্ষী দেখিয়ে দুজনের দেয়া দুটি ফেসবুকের বক্তব্য ভিডিওসহ একাধিক আলামত সহ আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে। এর আগে সাঈদা আক্তার ওরফে সায়েদা শিউলি ১৬ মে রাতে মামলাটি দায়ের করেন।