প্রিন্ট নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় বিকেএমইএ’র নির্মাণাধীন ভবনের সামনের জায়গা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন দখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ ও বিকেএমইএ’র সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান। তিনি এই জায়গা ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের যদি কোনো ব্যবস্থা না থাকে তাহলে আইনের মাধ্যমে হোক কিংবা অন্য কোনো ব্যবস্থায় এই জায়গা আমরা উদ্ধার করবো। আমরাও তো হরতাল করতে জানি। আমাদের এতগুলো সদস্য সবারই দুইটা করে হাত আছে। আমি আন্দোলনের ডাক দিলাম না, আমি সবিনয়ে নিবেদন রাখলাম। অতিসত্ত্বর যেন আমাদের জায়গাটা ছেড়ে দেয়।’
শনিবার (২৮ আগস্ট) রাতে বিকেএমইএ’র ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শহরের চাষাঢ়ায় সমবায় নিউ মার্কেটের ষষ্ঠ তলায় এই সভার আয়োজন করা হয়।
বিকেএমইএ’র বার্ষিক সভায় দীর্ঘক্ষণ বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি সেলিম ওসমান। বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিরা উৎসাহ দিলে ব্যবসায়ীরা ভালো থাকতে পারেন। কিন্তু আমাদের একটা সংস্থা আমাদের জায়গার সামনে পাওয়ার স্টেশন বানিয়ে বসে আছে। আপনার এলাকায় এত বড় উন্নয়নশীল কাজ করে এতগুলো টাকা ট্যাক্স দেয়। আপনারা কেনো আমাদেরকে বাধা দিয়ে রাখছেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘আরও দুই বছর আগে আমাদের এই ভবন সম্পন্ন থাকতো। আমাদের সামনের জায়গাটা ছেড়ে দিয়ে কেন চলে যাচ্ছেন না? আপনি বাড়ি বানালেন এক জায়গায় আর ট্রান্সফরমার বসালেন আরেকজনের জায়গায়! জায়গাটাতো সিটি করপোরেশনের না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল বলেই আমরা এ জায়গায় ভবন করেছি। সিটি মেয়রের কাছে আমি অনুরোধ করবো এই জায়গাটা আপনি খালি করে দিয়ে চলে যান।’
বিকেএমইএ সভাপতি বলেন, ‘আপনি যে এত বড় ভবন নির্মাণ করেছেন এবং ফ্ল্যাটগুলো বিক্রি করেছেন জায়গাটা কিন্তু সিটি করপোরেশনের ছিল না। ওইটা রাজউকের জায়গা। যাক করেছেন ভালো কথা কিন্তু আপনি ওইখানে কেনো ট্রান্সফরমার বসান না? আপনি কেন বিকেএমইএ’র ভবনে সামনে বসাচ্ছেন! আপনি কেন ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করছেন? আমি এতদিন কিছু বলিনি। আমার কাছে সিটি করপোরেশন একটি টিনের ঘর করার কথা বলে নিয়ে গিয়েছিল। সেই জায়গা আজকে দখল করে বসে আছে তারা। ওইটা বসানোর জন্যে কিন্তু মাধবী প্লাজার নিচে জায়গা করা হয়েছিল। সেটার মধ্যে রেস্টুরেন্ট করে ভাড়া দিয়ে দেয়া হয়েছে।’
বিকেএমইএ’র নির্মাণাধীন ভবন প্রসঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বক্তব্য দেওয়ার পর এই বিষয়ে সংবাদ না করার জন্য উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। সাংসদ সেলিম ওসমান বলেন, এটা সভার কোনো প্রসঙ্গ না। তারপরও কথায় কথায় বিষয়টি উঠে এসেছে। এই বিষয়ে নিউজ না করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএ’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক মঞ্জুরুল হক, বর্তমান সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, বিকেএমইএ’র সহসভাপতি অমল পোদ্দার, সহসভাপতি মোর্শেদ সরোয়ার সোহেল, সাবেক সহসভাপতি ও বর্তমান পরিচালক মনসুর আহমেদ, পরিচালক ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, পরিচালক ও মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, পরিচালক ফজলে শামীম এহসান, বিকেএমইএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলভ চৌধুরী প্রমুখ।