অনলাইন ডেস্ক :নারায়ণগম্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট কারচুপির অভিযোগে ও পুনঃ নির্বাচনের দাবীতে এবং নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা বিষয়ে সংবাদ সন্মেলন হয়েছে।
কদম রসুল দরগাহের সামনে গতকাল ১২ ফেব্রুয়ারী দুপুরে কাউন্সিলর প্রার্থী আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোকন সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।গত ১৫ জানুারী অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পরাজিত ঘোষিত
আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোকন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ওয়ার্ডের ছয়টির মধ্যে পাঁচটি কেন্দ্রে আমি দুই হাজার দুইশ ২২ ভোট প্রাপ্ত হই।আমার প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী আফজাল হোসেন ওই পাঁচটি কেন্দ্রে দুই হাজার একশ ৫০ ভোট পায়।আমার চেয়ে তিনি ৭২ ভোট কম পায়।প্রশাসনের যোগসাজসে কদম শরীফ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আফজাল ভোট গননায় বিঘ্ন সৃস্টি করে। প্রিজাইডিং অফিসার রাত সাড়ে ৮ টায় ঝুড়ি প্রতিকের এজেন্টদের বের করে রেজাল্ট সীট না দিয়ে ভোট গননা দেখিয়ে দুইশ ৯৫ ভোটে আফজালকে বিজয়ী দেখায়।ওই কেন্দ্রে আফজালকে ঘুড়ি প্রতিকে সাতশ ৬৩ এবং আমাকে দুইশ ৯৫ ভোট প্রাপ্তি দেখিয়ে কারচুপির মাধ্যমে আমাকে পরাজিত ঘোষনা করা হয়।আমি ও আমার ভোটাররা পুনরায় ভোট গননার দাবী করলে প্রিজাইডিং অফিসারের সম্মতিতে র্্যাব,বিজিবি,পুলিশ এলোপাতারী লাঠিচার্জ করে আমাদেরকে তাড়িয়ে দেয়।আমি ওই ওয়ার্ডের ফলাফল গেজেটে স্থগিতের দাবী জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে নির্বাচনের প্রার্থী আব্দুস সাত্তার এবং আশরাফুল ইসলাম উজ্জল ও ভোটার ফয়সাল আহমেদ, মহসীন আলী, কামাল বাদশা, রমজান আলী, মসফর আলী, বাচ্চু মিয়া, আব্দুর রশিদ(টাইগার) প্রমুখ উপস্হিত ছিলেন।সংবাদ সন্মেলনে আফজালের পক্ষে প্রিজাইডিং অফিসারকে ঘুষ দেয়ার একটি অস্পষ্ট ছবি প্রদর্শন করা হয়। লিখিত বক্তব্যে খোকন বলেন, নাসিক নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে আমার জয়কে রুদ্ধ করা হয়েছে। নারায়ণগন্জ জেলা যুগ্ন জজ (নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল)আদালতে ৯ ফেব্রুয়ারী আমি ১/২০২২ নম্বর মামলা করি।আদালত আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে কেন অস্হায়ী নিষধাজঃা জারী করা হবে না–তা সাত দিনের মধ্যে কারন দর্শাতে নোটিশ জারী করেন।আমি নির্বাচন কমিশন ও ট্রাইব্যুনালের নিকট সুষ্ঠু বিচার চাই।খোকন বলেন,আমি ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পর যেন কোন হামলা না হয়–সে জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।একই সাথে মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রকাশিত গেজেটে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের ফলাফল স্থগিতের দাবী জানাচ্ছি।