নিজস্ব প্রতিবেদক :নারায়ণগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ -২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে মন্ডলপাড়া ফায়ার স্টেশনে এ আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন আহম্মদ সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মন্জুরুল হাফিজ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা চেম্বার অব কর্মাস ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি খালেদ হায়দার কাজল।
ফায়ার সপ্তাহ এবার প্রতিপাদ্য শ্লোগান ছিল ”
দুর্ঘটনা দুযোগ হ্রাস করি বঙ্গবন্দ্ধু সোনার বাংলা গড়ি”
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মন্জুরুল হাফিজ প্রধান অতিথি বক্তব্য বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা সাধ্য মোতাবেক যে কোন মুহুর্তে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সামর্থ রাখি।সাভারে যখন রানা প্লাজা দুর্ঘটনাটি ঘটে। একেবারে প্রত্যক্ষদর্শী আমি। আমি তখন লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে উপপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করি।সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে আমরা ডাক্তার নার্স নিয়ে পুরো টিম ওখানে পৌচ্ছেছিলাম। আমরা সেখানে তিনদিন ছিলাম।লাশের পচাগন্দ্ধ আমরা টিকতে পারিনি।একজন মানুষের হাত পাথর চাপায় আটকে ছিল।হাতটা কেটে ফেললে লোকটা বেঁচে যায়।একজন মানুষ এসে জানতে চাইলেন স্যার আপনি যদি অনুমতি দেন।তাহলে হাতটি কেটে ফেলব।তখন আমি ডিশিসন নিতে কনফিউশনে পরেছিলাম।পরে হাতটি কেটে ফেলা হয়েছিল বলে জানান উপপরিচালক ফখর উদ্দিন আহম্মদ। কারণ তখন তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এমন কঠিন মুহুর্তে কঠিন কাজ করে যান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।শীতলক্ষ্যা নদীতে কিছুদিন আগে লঞ্চ দুর্ঘটনা ঘটে।আমি তখন দেখেছি লোংড়া ময়লা পানি জীবনের ঝুকি নিয়ে ফায়ার কর্মীরা কাজ করেছে।একশ্রেণির মানুষ সচেতন হয়েছে একশ্রেণির অসচেতন রয়েছে। চাষাড়া মোড়ে কেউ ইট বালু সিমেন্ট রেখে রাস্তা দখল করে রেখেছে। বড় বড় বিন্ডিং তৈরী করছে।যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে তখন কি হবে।দুর্ঘটনা কোন রেয়ার কেস নয়।রেগুলার কেস।গতকালক সন্দ্ধ্যায় আমার ছেলে স্কুল থেকে আসার সময় দেখে ফোনে বলছে আব্বু যুব উন্নয়ন অপর দিকে বিশাল আগুন লাগছে সে আমাকে মোবাইলে লাইফ দেখালো।আমি সাথে সাথে ইউএনও ফায়ার সার্ভিস জানাতে বলি।পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস দল।তবে কোন ক্ষতি হয়নি।তল্লার মসজিদের ভিতরে বিষ্ফোরন ঘটে।অনেকে বলেছে এসি ব্রাস্ট হয়েছে। আমি তখন বলেছিলাম গ্যাস লাইন থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক ফখর উদ্দিন আহত্মদ তার স্বাগত বক্তব্য বলেন আজকে সারা বাংলাদেশে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ পালিত হ্চ্ছে।তারই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সপ্তাহ শুভ উদ্বোধন হচ্ছে। আজকে এজন্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিশেষ অতিথি ও আমন্ত্রিত অতিথিকে আসার জন্য ধন্যবাদ জানাছি।আপনারা জানেন বিশ্বের বিভিন্ন ফায়ার সার্ভিসের কদর বাড়ছে।তারই ধারাবাহিকতা বাংলাদেশ সরকার নির্দেশে আমাদের বেতন রেশন বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ জানাই।সরকার আমলে ফায়ার স্টেশন ৪৯২টি।এ সরকার আসার স্টেশন আগে ছিল ২০৪টি।আমাদের নারায়ণগঞ্জে মাএ পাচটি ফায়ার স্টেশন ছিল।২০০৯ সালে আরো চারটি ফায়ার স্টেশন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অবদানের কারনে তা সম্ভব হয়েছে।নতুন পাগলা ফায়ার স্টেশন হচ্ছে তা নৌপথে দুর্ঘটনা রোধ করবে।সরকার ঝুকি কমাতে বহুতল ভবন অগ্নি নির্বারনের জন্য অত্যাধুনিক গাড়ী বহর প্রদান করেছে।যার মাধ্যমে ২০ তলাভবন অগ্নি নির্বারন সম্ভব। ফায়ার সপ্তাহ উপলক্ষে নানা কর্মসুচী পালিত হয়। এর মধ্য সকালে পতাকা উওোলন,পায়রা উওোলন,ডিসিকে গার্ড অব অনার,আলোচনা সভা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ডলপাড়া ফায়ার স্টেশন সিনিয়র অফিসার হামিদুর রহমান,সিদ্দিরগঞ্জ ফায়ার স্টেশন সিনিয়র অফিসার ওবায়দুল রহমান, ইপিজেড ফায়ার স্টেশন সিনিয়র অফিসার মোল্লা,মন্ডপাড়া ফায়ার স্টেশন ইন্সপেক্টর রবিউর আওয়াল,সিরাজুল ইসলাম।