শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে দক্ষিণ মুছাপুর আম বাগান সংলগ্ন এ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোঃ মুজিবুর রহমান’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই।
এসময় প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন- ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমি পাঁচটি আসনে নৌকা প্রতীক চেয়েছিলাম। কিন্তু গত নির্বাচনে কৌশলগত কারণে হয়তো নেত্রী দুই আসনে লাঙ্গল দিয়েছিলেন। এবার আমি নেত্রীকে অনুরোধ করবো নারায়ণগঞ্জে পাঁচটি আসনেই যেনো নৌকার প্রার্থী দেন। আমরা পাঁচটি আসনেই নৌকা জিতবে। আর লাঙ্গলের বোঝা বইতে চাই না। সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। লাঙ্গলের কোন ভোট নেই। নৌকার ভোটই লাঙ্গলের পক্ষে দেয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত শহীদ মোঃ বাদল বলেন- নৌকার উন্নয়নে দেশ এগিয়ে গেছে। বন্দরে আর লাঙ্গল চাই না। আমরা নৌকা চাই। অনেকে বলে দেশ নাকি শ্রীলংকা হয়ে গেছে। আরে আপনারা মেট্রোরেল দেখেন না? প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেল উদ্বোধন করে দেশকে আরও ১০০ বছর এগিয়ে নিয়ে গেছে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন- নির্বাচনে আসেন। ২০১৪ সালে ট্রেন মিস করেছেন ২০১৮ সালেও একই অবস্থা। যদি নির্বাচনে জিতেন, অভিনন্দন জানাবো। কিন্তু আমরা জিতলে? আমাদের অভিনন্দন জানাতে হবে। বিএনপি জামাত নির্বাচনে আসতে ভয় পায়। কারণ তারা তো জ্বালাও পোড়াও রাজনীতিতে বিশ্বাসী।
সম্মেলনের নির্বাচনে ২২৫ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ২২০ জন কাউন্সিল ভোটদেন। ব্যালট পেপারের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। ভোটের মধ্য দিয়ে সভাপতি পদে ১৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন মুজিবুর রহমান। এবং আবুল হাসনাত জনি সাধারণ সম্পাদক পদে ৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
নব-নির্বাচিত মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মুজিবুর রহমান বলেন- আমাদের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলররা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। তাই আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার নেতা-কর্মীরা আমাকে যে সম্মান দিয়েছন, আমি তাদের এ সম্মানের মরজাদা রাখার চেষ্ঠা করবো। আমি আমার দলের সকল নেত-কর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানাই। এবং তাদের কাছে দোয়া কামনা করি। আমি যেনো মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে পারি।
উক্ত ত্রী-বার্ষীক সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. এ. রশিদ, সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন, সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মোঃ শহিদুল্লাহ মাষ্টার, সাবেক সদস্য আলহাজ্ব আঃ কাদির ডিলার, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা, মুছাপুর আওয়ামী লীগের সদস্য আলহাজ্ব রিয়াজুল হক
মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. এ. ছালাম, ২৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোঃ আনুয়ার হোসেন আনু, বন্দর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ নাজমুল হাছান আরিফ, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মাইনুদ্দিন আহম্মেদ তুষার প্রমূখ।