নিজস্ব প্রতিবেদক : কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বৃহৎ অংশের উদ্যোগে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৮ই মার্চ) বিকেলে নগরীর মন্ডলপাড়া এলাকায় এ জনসমাবেশ আয়োজন করা হয়।
জনসমাবেশে মহানগর বিএনপি যুগ্ন আহবায়ক হাজী নুরউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও সদর থানা বিএনপির সদস্য সচিব আওলাদ হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ আতাউর রহমান মুকুল, প্রধানবক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক এমএইচ মামুন।
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সদর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক সরকার আলম, যুগ্ম-আহবায়ক পারভেজ মল্লিক, বন্দর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক সুলতান উদ্দিন আহমেদ, বন্দর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. আনিছুর রহমান মোল্লা, যুগ্ম-আহবায়ক ফারুক চৌধুরী, আল-মামুন, আমিনুল ইসলাম, পনির হোসেন, মহানগর শ্রমিক দলের সিনিয়র যুগ্ন – আহবায়ক মনির মল্লিক, খ.ম সুলতানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এ সময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আতাউর রহমান মুকুল বলেন, আমরা ২০০৮ সাল থেকে রাজপথে আছি যতদিন পর্যন্ত গণতন্ত্র উদ্ধার না হবে রাজপথে থাকবো ইনশাল্লাহ। যেখানেই আমরা কর্মসূচি পালন করতে আসি সেখানেই সরকারের পেটুওয়াবাহিনী দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। কোন রক্তচোখুকে আমরা ভয়পাইনা। এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবো ইনশাল্লাহ।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। মনে রাখবেন দিনের ভোট আর রাতে দিতে পারবেন না। আপনারা উন্নয়নের জোয়ারে দেশ ভাসাচ্ছেন তাহলে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে কেন ভয় পান।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দলের মহানসচিব আশ্বাস দিয়েছেন অচিরেই একটি সুন্দর কমিটি আমরা পাবো। আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহন করুন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত ও গণতন্ত্র উদ্ধার করতে হবে। সেই সাথে আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।
এসময়ে প্রধানবক্তা হিসেব আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, দেশের কোথাও এখন গণতন্ত্র নাই, বাকস্বাধীনতা নাই, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নাই, মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে ঠিক মত খেতে পারছেন না, দিন দিন বেকারত্ববৃদ্ধি পাচ্ছে।
আর সরকারের মন্ত্রী এমপিরা লক্ষ লক্ষ টাকা বিদেশে পাচার করছে। এই হলো বর্তমান সরকারের উন্নয়নের চিত্র।একটি স্বাধীন জাতিকে পরাধীনতার ধুম্রজালে বন্দি করে দেশ শাসনের নামে শোষন করা হচ্ছে। এই ভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। এই অবৈধ সরকার এখন দিনের ভোট রাতে তার পেটুওয়াবাহিনী দিয়ে নিয়ে নিচ্ছে। মানুষ এখন ভোটাধিকার হারিয়ে ফেলেছে।
তাই আসুন আমাদের অধিকার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে আদায় করতে হবে। তাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামী দিনে আন্দোলন সংগ্রামে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে থাকতে হবে।
এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী ইসমাইল, সদর থানা বিএনপির আহবায়ক হাজী ফারুক হোসেন, এ্যাড. মোস্তাক আহম্মেদ, আমিনুর ইসলাম মিঠু, বন্দর থানা বিএনপির আহবায়ক হান্নান সরকার, যুগ্ম-আহবায়ক মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, হুমায়ুন মোল্লা, সাইদুর রহমান, আবুল হোসেন সরদার, বন্দর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. বিল্লাল হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আবুল কাশেম, শহীদ মেম্বার, সাফী, নেছার উদ্দিন আহমেদ, এ্যাড. আব্দুল মতিন, মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, বিএনপি নেতা জজ মিয়া, আব্দুল মান্নান আনিছ, স্বপন মেম্বার, মাসুদ, রফিকুল ইসলাম, কাদির, মনির মেম্বার, আশরাফ উদ্দিন, জাহাঙ্গীর হোসেন, আলী আকবর, শধু, রাইসুল ইসলাম বাদল, রাবেয়া বস্ত্রী, মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ডলি আক্তার, সদর থানা গামেন্টর্স শ্রমিক দলের আহবায়ক সেলিম, যুগ্ম-আহবায়ক সুমন, মিন্টু, খ .ম সুলতান, এবি সিদ্দিক সহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।