প্রিন্ট নারায়ণগঞ্জ: গত ১৬ ই মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্দরের ফরাজিকান্দা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান তৃতীয় সেতু সংলগ্ন একটি বাজারের জমি দখল নিতে অর্ধশতাধিক হোন্ডারোহী আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলায় চালায়।
হামলার সময় জাতীয় পার্টির নেতা ও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রয়াত রাইসুল ইসলামে ছেলে মইনুল হক পারভেজ গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় পারভেজের স্ত্রী আবিদা সুলতানা সুমি ও মা মাহফুজা হক আহত হন।
গুলিবিদ্ধ মইনুল হক পারভেজের ছোট ভাই তানভির আহম্মেদ বাদী হয়ে তার পরদিন শুক্রবার বন্দর থানায় মামলাটি করেন। মামলায় আলী হায়দার শামীম ওরফে পিজা শামীমসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২৫/৩০ জনকে আসামী করা হয়। এ দিকে মামলায় উল্লাখিত ঘটনাটি আলী হায়দার শামীম ওরফে পিজা শামীম এর নেতৃত্তে ঘটানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হলেও, সম্পুর্ন ঘটনাটি পিজা শামীমের অজান্তে এবং তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাকে ঘিরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের সরযন্ত্রমূলক কাজ করে আসছে, এমনকি ঘটনাস্থলে তিনি সেদিন উপস্থিতই ছিলেননা বলে দাবি করে, সেদিনের ঘটনায় তার উপস্থিতি প্রমান করতে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে, শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি লিখিত বার্তা প্রকাশ করেন।
লিখিত বার্তায় তিনি বলেন,
গত ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার বন্দর থানার ফরাজীকান্দা এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। আমি আলী হায়দার শামীম (পিতা মরহুম রুস্তম আলী ডাক্তার) নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্যাবল টিভি ওনার্স (ডিস লাইন) অ্যাসোসিয়েশনর সভাপতি এবং নারায়ণগঞ্জ শহর উন্নয়ন ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, গত ১৬ই মার্চ বৃহস্পতিবার বন্দরের ফরাজীকান্দা এলাকায় জমি সংক্রান্ত ঘটনায় সংঘর্ষের ঘটনার সাথে আমার কোন রকম সম্পর্ক নেই। আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না।আমি সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, সংঘর্ষ চলাকালে সেখানে পুলিশ উপস্থিত ছিল। পুলিশের নিজস্ব ক্যামেরাম্যানও ছিল। এখন হাতে হাতে মোবাইল এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে, রাস্তাঘাটে সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকে। আমি যদি ঘটনাস্থলে থেকে থাকি তাহলে সিসি ক্যামেরা বা ভিডিও ফুটেজ দিয়ে প্রমাণ করুক। কোনো প্রমাণপঞ্জি ছাড়া যে কেউ একজন বলল বা দাবি করলে তো হবে না। প্রকৃতপক্ষে আমি জাতীয় পার্টির জন্মলগ্ন থেকে প্রয়াতঃ সংসদ সদস্য একেএম নাসিম ওসমানের সাথে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাকে বিতর্কিত করার জন্য মরহুম রাইসুল ইসলামের ছোট ছেলে তানভীর আহমেদকে দিয়ে বন্দর থানায় আমার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়েছে। কারন এই ঘটনার সঙ্গে আমার যেমন সম্পৃক্ততা নাই ঠিক তেমনি ভাবে ঘটনার দিন অর্থাৎ ১৬ই মার্চ আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। যা শতভাগ সত্য। বন্দর থানার সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে স্থানীয় পত্র–পত্রিকায় আমাকে জড়িয়ে যেসব সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট এবং ষড়যন্ত্রমূলক। আমি এইসব মিথ্যা সংবাদ এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। সর্বশেষে আলী হায়দার শামীম সাংবাদিকদের বলেন, আমি বিগত বেশ কয়েকদিন যাবত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ আতাহার আলী সাহেবের অধীনে চিকিৎসাধীন আছি। তার পরামর্শে ঢাকার সাবেক অ্যাপোলো হাসপাতাল বর্তমানে এভার কেয়ার হাসপাতাল হদরোগ বিভাগে ভর্তি হলে আমার হার্টের তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। ডাক্তারগন আমাকে রিং পরানোর পরামর্শ দেন। শারীরিকভাবে আমি খুবই অসুস্হ থাকায় ডাক্তারদের পরামর্শে সম্পূর্ন গত সাত দিন যাবত বেড রেস্টে আছি এবং একটু সুস্থ হলেই আমি হার্টে রিং বসাবো। আমার এই বক্তব্যের পর সংশ্লিষ্ট সব মহল বুঝতে পারবেন আমাকে নিয়ে একটি গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে। আমি সাংবাদিক ভাইদেরসহ সকলকে সঠিক তথ্য জেনে দিয়ে সংবাদ পরিবেশনের জন্য অনুরোধ করব।
নিবেদক
(আলী হায়দার শামীম )