রবিবার (২ এপ্রিল) সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা অলহাজ মােঃ আওলাদ হােসেন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের হুবুহু কপি তুলে ধরা হলো, যথাবিহীত সম্মান পূর্বক নিবেদন এই যে, আমি নিম্ম স্বাক্ষরকারী অলহাজ মােঃ আওলাদ
হােসেন (বীর মুক্তী যুদ্ধা), পিতা- আলহাজ মােঃ আকবর হোসেন, গ্রাম- বজগাঁও, ভাকঘর-বেজগাঁও থানা- লৌহজং, জেললা- মুন্সীগঞ্জ এই মর্মে আপনার কার্যালয়ে অভিযোগ দাযের
করিতেছি, বিবাদী ১) আব্দুল্লা তারেক, পিতা- হাজী মেঃ আব্দুল জব্বার, মাতা- বিবি মরিয়ম বেগম, বর্তমান সাং- শান্তিধারা, ডাকঘর- কুতুবপুর-১৪২১, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ২) জান্নাতুশ ফেরদৌস, স্বামী- মাঃ রাসেল, পিতা- হাজী আব্দুর রশিদ, মাতা- শাহেরা বেগম, সাং- ভূইগড়, ডাকঘর- ভুইগড় বাজার, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণঞ্জ, ৩) মাকছুদা আক্তার, স্বামী- সুরুজ বেপারী, পিতা- সায়েদুর রহমান, মাতা- জাহানারা বেগম, সাং- সাং- শান্তিধারা, ডাকঘর- কুতুবপুর-১৪২১, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ৪) ওয়ালি উল্লাহ, পিতা- মােঃ শহিদুল্লাহ, মাতা- ফেরদৌসি বেগম, সাং- ১নং পোস্তগোলা শিল্প এলাকা, পোঃ ফরিদাবাদ, থানা-শ্যামপুর, জেলা- ঢাকা, সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৭-৮ জন এদের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে, যেহেতু নিম্ন তফসিল বর্নিত ভূমি যাথাঃ জেলা সাবেক ঢাকা হালে নারায়ণগঞ্জ,
থানা ও সাব রেজিষ্ট্রী অফিস ফতুল্লা অধীন সি.এস ১৪৮ নং ভূইগড় মৌজাস্থিত নালিশী সি.এস ১৯৩ নং খতিয়ানের নালিশা সি.এস ৭৭ নং দাগের সাবেবক নাল ১ ষােল আনায় ৪১ শতাংশ ভূমি সহ অপরাপর ভূমিত সি.এস পর্চা অনুযায়ী রায়তি জোত স্বত্বের মালিক ছিলেন পদ্ম মন্ডল এবং (পাঁচ আনা ছয় গন্ডা দুই কড়া দুই ক্রান্তি), রাম (পাচ আনা ছয় গন্ডা দুই কড়া দুই ক্রান্তি)। উক্ত রামেশ্বর মন্ডল গংদের নাম বিগত সি.এস খতিয়ানে সমান অংশে শুদ্ধরূপে লিপি হইয়া চুড়ান্ত প্রচারিত হইয়াছে। অতঃপর বমিত রামেশ্বর মন্ডল, রাম চরন মন্ডল ও রাম কুমার মন্ডল নালিশা দাগের ১ ষোল আনা ভূমি সহ অপরাপর ভূমিতে মালিক ও
ভােগদখলকার থাকাবস্থায় তাহাদের মধ্যে পারিবারিক এক আপোষ বন্টন হয়। উক্ত আপোষ বন্ডে রাম চরন মন্ডল নালিশী দাগের ১ ষোল আনা ভূমি সহ অপরাপর ভূমি একক ভাবে প্রাপ্ত হয়। অপরদিকে রামেশবর মন্ডল ও রাম কুমার মন্ডল অপরাপর অনালিশা দাগের ভূমি বুঝিয়া পায়
ও লয়। অতঃপর বার্নিত রাম চরন মন্ডল নালিশী দাগের ২ ষােল আনা ভুমি সহ অপরাপর ভুমিতে মালিক ও ভোগদখলকার থাকাবস্থায় অভিমান্য মন্ডল ও নবদ্বপ মন্ডলকে ২ পুত্র বিত্তভােগী ওয়ারিশ রাখিয়া মারা গেলে উক্ত ২ পুত্র নালিশী দাগের ষোল আনা ভূমিতে সমা অংশে মালিক ও ভােগদখলকার নিয়ত হয় ও থাকে এবং থাকাবস্থায় তাহাদের নাম তদানিস্তন পাকিস্তান আমলে এস.এ ২৫৯ নং খতিয়ানে শুদ্ধরূপে রেকর্ড হয় এবং আর.এস ৫ নং খতিয়ানে অভিমান্য মন্ডল এর নাম লিপি হইলেও ভুলবশৃতঃ নবদ্ধীপ চন্দ্র মন্ডলের নাম লিপি হয় নাই। উক্ত ভুল লিপির কারণে নালিশী ভূমিভোগদখলে নবদ্বীপ চন্দ্র মন্ডলের কোনরূপ ব্যাঘাত ঘটে নাই। প্রকাশ থাকে যে, নালিশী সি.এস ও এস.এ ৭৭ নং দাগের ভুমি আর.এস ১৪০ ও ১৪১ নং দাগরূপে অঙ্কিত হইয়াছে এবং পরিমানগত দিক হইতে (২১+২০)=৪১ শতাংশ হয়।
অতঃপর বর্নিত অভিমান্য মন্ডল তাহার অংশে মনিয়ম মন্ডলকে ১ পুত্র বিত্তভোগী ওয়ারিশ রাখিয়া মারা যায়। অতঃপর মনিয়ম মন্ডল তাহার অংশে কমলা রানী মন্ডলকে ১ স্ত্রী ও ভালবাসা রানী কে ১ কন্যা রাখিযা যায়। অন্তেঃ ভালবাসা রানীর গর্ভে অপু চন্দ্র মন্ডল নামীয় ১ পুত্র জন্মগ্রহণ করে। অপরদিকে বর্নিত নবদ্বীপ মন্ডল তাহার অংশে অনিল চন্ত্র মন্ডলকে ১ পুত্র বিত্তভোগী ওয়ারিশ রাখিয়া মারা যায় অতঃপর বর্ণিত অনিল চন্দ্র মন্ডল নালিশী দাগে তাহার প্রাপ্ত ২০.৫০ শতাংশ ভূমিতে মালিক ও ভোগদখলকার নিয়ত থাকাবস্থায় তাহার প্রাপ্ত ২০.৫০ শতাংশ ভূমি বিগত ৩/৩/১৯৮৭ইং তারিখে সম্পাদিত ও রেজিষ্ট্রীকৃত ১৫৯৭ নং সাব কবলা দলিল মূলে হাজী আহাম্মদ হােসেন, আঃ বাতেন, আবু সুফিয়ান ও আঃ আউয়াল এদের বরাবরে হস্তানন্তর করিয়া দখলাদী বুঝাইয়া দেয়। অপরদিকে বর্নিত অপু চন্দ্র মন্ডল নাবালক থাকায় তাহার পক্ষে কোর্ট গার্ডিয়ান অনিল চন্দ্র মন্ডল ও বর্নিত কমলা রানী মন্ডল নালিশা দাগের অবশিষ্ট তাহাদের প্রাপ্ত ২০.৫০ শতাংশ ভূমি বিগত ৩০/০৬/১৯৮৭ইং তারিখে সম্পাদিত ও রেজিষ্ট্রীকৃত ৪৭৭৩ নং সাব কবলা দলিল মূলে বর্নিত হাজী আহাম্মদ হােসেন, আঃ বাতেন, আবু সুফিয়ান ও আঃ আউয়াল এদের বরাবরে হস্তানন্তর করিয়া দখলাদী বুঝাইয়া দেয়।অতঃপর বর্ণিত হাজী আহাম্মদ হােসেন, আঃ বাতেন , আঃ সুফিয়ান ও অং আউয়াল নালিশা
দাগের ১ ষোল আনা ভূমিতে খরিদ সূত্রে মালিক ও ভােগদখলকার নিয়ত থাকাবস্থায় ১ ষোল আনা
ভুমি হইত নালিশী ২৭ শতাংশ ভূমি অত্র মােকদ্দমার অভিযোগ কারীর বরাবরে বিগত ২০/০৫/১৯৯০ইং তারিখে সম্পাদিত ও রেজিস্ত্রীবকৃত ৩০৬৭ নং এওয়াজ বিনিময় দলির মূলে এওয়াজ করতঃ দখলাদি বুঝাইয়া দিলে অভিযোগকারী নালিশা দাগের ২৭ শতাংশ ভূমিতে মালিক ও ভোগদখরকার নিয়ত হয় ও থাকে এবং থাকিয়া ০৯ শতাংশ ভূমি বিগত ১৮/০৬/১৯৯২ তারিখে ২৪৪৩ নং দলিল মুলে অভিযোগকারীর স্ত্রী মোসাঃ শাহনেওয়াজ বেগম এর বরাবরে দান করিয়া দখলাদি বুঝাইয়া দেয়। অপরদিকে আরো ০৯ শতাংশ ভূমি ঐ একই তারিখে ২৪৪৪ নং দানপত্র দলিল মূলে তাহার পূত্র অর্থাৎ অত্র মোকদ্দমার অভিযোগকারী পুত্র ছাঈদুর রহমান সজিব এর বরাবরে দান করিয়া দখরাদি বুঝাইয়া দিলে অত্র মোকন্দমার বাদীগণ নালিশী দাগের নালিশী ১ ষােল আনা ভূমিতে একগঠনে ভােগদখরকার নিয়ত হয় ও আছে। প্রকাশ থাকে যে,
অভিযােগকারী তাহাদের প্রাপ্ত নালিশী ভূমি এস.এ মোতাবক নামজারী ও জমাভাগ করিয়াছে। অন্তেঃ বাদীগণ নালিশী দাগের নালিশী ১ ষোল আনা ভূমির মধ্যে কতক অংশ হইতে মাটি কাটিয়া পুকুর খনন করিয়া কতক অংশে ভরাট করিয়া চারদিকে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করিয়া পশ্চিমাংশে ৭টি টিনসেড ঘর নির্মান করিয়া বিদ্যুৎ সংযোগ আনিয়া ও পানির লাইন নিয়া শান্তিপূর্ন ভাবে ভােগদখলকার নিয়ত হয় ও আছে এমতাবস্থায় বিবাদীগণ আমাদের স্বত্ব দখলিয় ভূমিতে অন্যায় ও বেআইনী ভাবে জোরপূর্বক ভাবে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিগত ৩০/০৩/২০২৩ ইং সকাল ১০.০০ ঘটিকায় আমার বাউন্ডারি ওয়াল ভাংচুর করিয়া ভালু বরাট করিয়া বেদখলের অপচেষ্টা পূর্বক সম্পূর্ন অন্যায় ও বিআইনীভাবে তপছিল ভূক্ত সম্পত্তি দাবী করিতেছে এবং বহুতল ভবন নির্মান করার অপচেষ্টায় লিপ্তি হইয়াছে। এমতাবস্থায় আমি সহ আমার পরিবার পরিজন নিয়া বিবাদীগনের সন্ত্রাসী বাহীনির লোকজন আমার বড় ছেলে সাইদুল রহমান সজিব-কে ও আমার পরিবারকে তপছিল বর্ণিত সম্পত্তিতে যেতে নিষেধ করে। অন্যথায় তাহার পরিবারের যে কাউকে গুম করিয়া খুন করে ফেলার লক্ষ্যে এবং পুলিশ দিয়ে চুরি ডাকাতী
ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করিবে মর্মে ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন। এহেন অবস্থায় আমি ও আমার পরিবার নিয়ে অত্যন্ত ভয়ে ও আতংকে দিনযাপন করিতেছি। আপনার সহযোগিতা কামনায় অত্র অভিযোগ দায়ের করিলাম। অতএব, প্রার্থনা এই যে, আমার উপরোক্ত বিষয় খানা আপনার আমলে নিয়া তাহার সুবিহীত ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া বাধিত করিতে জনাবের সদয় মর্জি হয়।