প্রিন্ট নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আগামী ১৪ এপ্রিল যুবদলের ঢাকা বিভাগীয় ইফতার কর্মসূচী পালনে এখন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনিক অনুমতি। ইতোমধ্যে আয়োজনস্থল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ধর্মগঞ্জ এলাকার ফাজিলপুর মাঠে প্যান্ডেল ও প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে হলেও সেটা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। আয়োজকদের এজন্য প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বাকি কাজ আগাতে বলেছে।
১১ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে ফাজিলপুর মাদ্রাসা মাঠে ত্রিপল, বাশ ও প্যান্ডেল পুলিশি বাধায় খুলে ফেলা ও পাশের একটি পার্কিং স্পেসে রাখতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠে। যদিও পুলিশের দাবী, অনুমতি নিয়ে আসার বিষয়টি বলার পরে কর্মরত শ্রমিকরা নিজেরাই মালপত্র সরিয়ে নিয়েছে। এক্ষেত্রে কোন প্রকার বাধা দেয়া হয়নি।
মহানগর যুবদলের এক যুগ্ম আহবায়ক এই প্রতিবেদককে বলেন, ১৪ এপ্রিল আমাদের বিভাগীয় ইফতার কর্মসূচী পালনের কথা রয়েছে। আমরা বরফকল মাঠ এবং ফাজিলপুর মাঠ পছন্দ করেছিলাম। ডিসি, এসপি এবং থানার ওসিকে এই বিষয়ে অবগত করা হয়। প্রশাসন থেকে আমাদের জানানো হয় বরফকল মাঠ শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এখানে সমাবেশ করলে শহরে যানজট তৈরী হবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে এই কর্মসূচী পালন করলে কোন সমস্যা হবে না। মৌখিক অনুমতি পেয়েই গত শনিবার থেকে মাঠ প্রস্তুতির কাজ শুরু করি। সোমবার পর্যন্ত কোন সমস্যা হয়নি আমাদের। মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় সোহাগ নামে একজন এসআই এসে কাজ বন্ধ করতে বলেন। পরে আমরা আমাদের মৌখিক অনুমতির কথা বললে তিনি চলে যান।
বিকেল চারটার দিকে ফতুল্লা থানার ওসি তার ফোর্স নিয়ে এসে ১০ মিনিটের মধ্যে মাঠ খালি করে দিতে বলেন। এত কষ্ট করে মাঠ প্রস্তুত করার পর অল্প সময়ে মাঠ পরিস্কার করা সম্ভব না। পুলিশ কর্মরত শ্রমিকদের দিয়ে ত্রিপল, প্যান্ডেল খুলতে বাধ্য করে। পরে নেতাকর্মীরা পাশের একটি পার্কিং স্পেসে মালামাল রেখে সেখান থেকে চলে আসে। এখন আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারা বিষয়টি যোগাযোগ করে দেখছেন। ঠিক কোন কারণে এমন বাধা আসলো বা হঠাৎ করে পুলিশ কেন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলো তা আমাদের বোধগম্য নয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। কি কারণে এমন বাধা দেয়া হচ্ছে তা আমার জানা নেই। কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে এই বিষয়ে কথা বলবো আমরা।
একই বিষয়ে জেলা যুবদলের আহবায়ক গোলাম ফারুক খোকন ও সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির কাছে জানতে চেয়ে ফোন করা হলেও তারা ফোনকল রিসিভ করেননি।
যুবদলের ইফতার কার্যক্রমে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিজাউল হক দিপু বলেন, ওখানে সিকিউরিটি থ্রেট আছে, তাদের বলা হয়েছে অনুমতি নেয়ার জন্য। অনুমতি নিয়ে আসলে তারা কর্মসূচী করবে এবং পুলিশ সেখানে তাদের নিরাপত্তা দিবে। এখন যেটা করছে সেটা পুলিশকে অবগত করে করা হচ্ছেনা। এখানে প্রচুর মানুষের সমাগম হবে। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে সেখানে শান্তি ভঙ্গের সম্ভাবনা আছে। আমরা তাই অনুমতি নিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছি। অনুমতি না নিলে সেখানে জমায়েত করতে পারবে না।