শুক্রবার বিকালে চাষাড়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত জেলা ও মহানগর বিএনপির জনসমাবেশের পুরোটা সময়জুড়ে নেতাকর্মীরা বিশৃঙ্খল আচরণ করেছেন। সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার চেয়ে উচ্ছৃঙ্খল এই নেতাকর্মীদের শান্ত করতে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে অতিথিদের। স্লোগান বন্ধ করতে বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও তারা শান্ত হননি। নিজ নেতার নামে করা ব্যানার, পোস্টার নামানোর জন্য স্টেজ থেকে বারবার অনুরোধ জানানো হলেও তারা কর্ণপাত করেননি।
দুপুর ৪টায় মঞ্চে উঠেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। উঠার সাথে সাথে নেতাকর্মীদের হুড়োহুড়ির আচরণের মুখে পড়েন তিনি। নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ নেতারা বারবার শান্ত করতে তাদেরকে কয়েকবার নির্দেশ দেন। বারবার নিষেধ করার পরও তারা শান্ত হননি। এসময় নেতাকর্মীদের এরকম বিরক্ত আচরণে মঞ্চ থেকে চলে যেতে চেয়েছিলেন তিনি।
পরে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান, জেলা বিএনপির আহবায়ক মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন ও মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান মির্জা আব্বাসকে শান্ত করে চেয়ারে বসান।
নেতাকর্মীদের এমন আচরণে বিরক্ত হয়ে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান বক্তব্যে বলেন, আমাদের নেতা ফিরে আসবেন এবং জাতিকে নেতৃত্ব দিবেন। আপনারা এই রাজপথ দখলে রাখবেন। নেতৃত্বের প্রতিযোগীতার সময় এখন নয়। আমারা একত্রে ঐক্যবদ্ধ ভাবে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করবো।
জানা যায়, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অধিনস্থ আদালত এবং সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবী মামলায় নির্বিচারে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানী, দ্রব্য মূল্যের উর্দ্ধগতি, বিদ্যুতের লোড শেডিং, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দূর্নীতির প্রতিবাদে এবং ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে এ জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।