সাধারন ভোটাররা আনন্দিত, তারা নির্বাচনে তাদের ভোট প্রয়োগ করতে পারবেন। বর্তমান ও সাবেক সকল মেম্বাররা আমার সাথেই আছেন। কিন্তু সরকারি দলের যে প্রার্থী তার নেতাকর্মীরা ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রার্থীর কাছে নিয়ে তার সাথে ছবি তুলে ফেসবুকে ছেড়ে দিচ্ছে। এতে বিভ্রান্তিকর অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। মেম্বাররা পরে ঠিকই আমার কাছে চলে এসে কান্না করছেন। এছাড়াও তাদের নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের দলে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আমার নেতাকর্মীদের বাসায় যেয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তারা যেন নির্বাচনে না আসে আর আওয়ামী লীগ জয়েন করেন। অল্প কিছু নেতাকর্মী চাপের মুখে জয়েনও করেছেন।
সোনারগাঁয়ের শম্ভুপুরা রাম গোবিন্দের গাঁও এলাকায় শনিবার (৩০শে ডিসেম্বর) নির্বাচনী প্রচারণা আয়োজনে না.গঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা এ অভিযোগ জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী ও আপামর জনগণ।
তিনি বলেন, আমি যখন ভোট চাইতে যাই, সাধারণ ভোটাররা আমাকে প্রশ্ন করছেন। তারা ঠিকমতো ভোট দিতে পারবেন না কি, কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার সময় তাদের সামনে কেউ দাঁড়িয়ে থাকবে না কি। এরকম অনেক অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা ছড়াচ্ছেন। এতে সোনারগাঁ একটা আতঙ্ক নগরীতে পরিণত হতে পারে। প্রশাসন যদিও অনেক একশন নিচ্ছে অভিযোগের সাথে সাথে, কিন্তু সাধারণ জনগণ অনেক ভয় পাচ্ছে।
“গত ১০ বছর সোনারগাঁর‘র মানুষ শান্তিতে ছিলো। কিন্তু এখন তারা আতঙ্কিত, এই শান্তি ভবিষ্যতে থাকবে কী না। এভাবে যদি চলতে থাকে ভোটের পরিবেশ থাকবে না। মানুষ ভয় পাবে, ৫ শতাংশ ভোটারও যাবে না।
এরপর তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী আর নির্বাচন কমিশন আশ্বাস দিয়েছেন এবার অবাধ নির্বাচন হবে, আমি তাদের উপর আস্থা রাখি।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যদি এমন হয়, সে যে দলেরই হোক একশন নেওয়া হবে কোনও কম্প্রোমাইজ করা হবে না। দেশের কোথায় কি হবে জানি না, তবে আমি আশাবাদী সোনারগাঁ‘র অন্তত ৭০ ভাগ ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাবেন, যদি সরকার পরিবেশ ঠিক রাখতে পারে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল চেয়ারম্যান শওকত আলী মেম্বার, ইকবাল মেম্বার, রিপন মেম্বার, স্বপন মেম্বার, এজাজ মেম্বার, শামীম মেম্বার, কবির মেম্বার, সাজেদ আলী মেম্বার, খৈয়ম মেম্বার, জাতীয় পার্টি-২ নং ওয়ার্ড সভাপতি আসাদ, সম্ভুপুর ইউনিয়ন সভাপতি এজাজ, সাধারন সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন সহ প্রমূখ।