নারায়ণগন্জ – ৫ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনিত সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সেলিম ওসমান বলেছেন আমরা শুধু সমালোচনা করি। ভোট আসলে ভোট দেই, পাশ করিয়ে সমালোচনা করি। কি করলে ঠিক হবে, এজন্য আমরা আলোচনা করি না, বসি না। এইজন্য মানুষ রাস্তায় চলাচল করতে পারে না, ফুটপাথে দোকান ভরা। এই পয়সা খায় কে? আপনারা যদি আমাকে দেখাতে পারেন, তারা নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা, আমি তাদের সুবন্দোবস্ত ব্যবস্থা করে দিবো। কোনো নেতার মার্কেট যেন না হয়। পার্টি অফিসের সামনে একটা দোকান থেকে যদি প্রেসিডেন্ট সাহেব ২০০ টাকা নিজের পকেটে ভরেন, কি করবেন? আমার নারায়ণগঞ্জ আমাকে ভালবাসতে হবে। আপনি যে এই দেশের নাগরিক, সেই অধিকার আপনার নিতে হবে।
রবিবার( ৩১শে ডিসেম্বর) রাতে নগরীর সদর থানা সংলগ্ন এলাকায়, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে লাঙ্গল প্রতিকের পদ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সেলিম ওসমান তার নির্বাচনী প্রচারণার প্রধান ক্যাম্পে ব্যবসায়ী ও আইনজীবীদের উদ্দ্যেগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় আমার কাছে দুই কোটি টাকা চাঁদা চাওয়া হলো, না পেলে আমাকে ধরে দিয়ে যাবে। দুই কোটি টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা শর্ট ছিলো, কোথাও পেলাম না। পরে বউয়ের অলঙ্কার বিক্রি করে দুই ভাগে ২ কোটি টাকা দিয়েছি। আমি এত দিন ধরে ব্যবসায়ীদের নেতৃত্ব দিয়ে আসছি, আমার এখানে কোনও বিচার ব্যাবসা নেই। ভালবাসা আছে। কিন্তু এই ভালবাসা থাকে না। যখন পেটে টান পড়ে, এই ভালবাসা জানালা দিয়ে পালায়। আর এক ধরণের লোক আছে, হাতি যতো বড়ই হোক না কেন, ফান্দে পড়লে চামচিকা রেডি। আগামী কাল আমার একটা সভা হওয়ার কথা ছিলো। আমি জানি না, বাংলাদেশের কেউ এই সভার লোকদের সাহায্য করেছে কী না, আমাকে কন্ডিশন দেওয়া হলো, বিরিয়ানি না হলে না কি আসা যাবে না। কীভাবে বলেন আমি বিরিয়ানি খাওয়াবো, যেখানে ইলেকশন কমিশন আমার নামে মামলা করে দিবে, আমার ক্যাম্পেইন বন্ধ করে দিবে। বিরিয়ানি না খেলে হবে না? ঠিক আছে, তাহলে আসতে হবে না। সবাই এসেছে, ক্ষমা করেছি। শেখ মুজিবও ক্ষমা করেছেন, জেলে ভরেছেন অপরাধীদের ফাঁসি দেননি। সেটাই ভুল করেছিলেন। ১৯৭৫ সালে তাকে হত্যার সব প্ল্যান ওখান থেকেই হয়। আমি দলের লোক না, আমি সবার কাছে ভালবাসার মানুষ। কিন্তু আজ খুব কষ্ট পেয়েছি। যারা আমার সাথে চললেন, আনন্দ করলেন, ফুর্তি করলেন, তারা বিরিয়ানি ছাড়া আসলেন না। আপনাদের বিরিয়ানি খাওয়াবো, প্রাণ ভরেই খাওয়াবো।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযুদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, নারায়ণগঞ্জ জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মুঃ খালেদ হায়দার খান কাজল, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড আবু হাসনাত মোঃ শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড খোকন সাহা, বাংলাদেশ ক্লথমার্চেন্ড এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রবীর কুমার সাহা, বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্ড এসোসিয়েশনের সভাপতি লিটন কুমার সাহা, বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল আলম সজল, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মোঃমহসিন মিয়া, সহ-সভাপতি এ্যাড,রবিউল আমিন রনি, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড, মাহমুদা মালা, আইন বিষয়য়ক সম্পাদক এ্যাড, ওয়াজেদ আলী খোকন,, এ্যাড, সেলিনা ইয়াসমিন, এ্যাড, এ্যাড, সুইটি ইয়াসমিন, এ্যাড, জেয়াসমিন আহম্মেদ, এ্যাড, মুক্তা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাফায়েত আলম সানি, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও আইনজীবী সহ প্রমূখ।